উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ সমুদ্রতটে আছড়ে পড়ছে।
নদ-নদীর পানির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেছে। সেইসাথে বাতাসের গতি ও চাপও বেড়েছে। জেলাজুড়ে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে, যার কারণে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই কাজে বের হতে না পারায় পরিবারের নিত্যপ্রয়োজন মেটানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হতে পারে। এতে করে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পায়রা, চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজারসহ দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, পটুয়াখালীসহ দেশের সাতটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর অঞ্চলে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসব নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে থেকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং উপকূলীয় জনগণকে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।