রাজধানীর পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে কাগজিটোলার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনের একে একে সবারই মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ রিপনের (৩৫) মৃত্যু হয়। রিপনের স্ত্রী চাঁদনী (২৮) গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যান।
এর আগে, একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রিপনের তিন সন্তান আয়েশা (১), রোকন (১৪), তামিমের (১৬)।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় স্বামী-স্ত্রী ও তিন সন্তান। তাদেরকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভর্তি দেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, পুরান ঢাকার সূত্রাপুর কাগজিটোলা একটি বাসায় গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজন আমাদের এখানে এসেছে। গতরাত ১২টার দিকে আইসিইউতে রিপনের মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো: জাকির হোসেন জানান, সূত্রাপুরে কাগজিটোলা এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। ওই বাসায় তারা নতুন ভাড়া নিয়েছে, সিলিন্ডার গ্যাস ছিল। তারা রাতে ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
জাকির হোসেন আরো জানান, চাঁদনীকে বাসায় নেয়ার পরপরই তিনি মারা যান। তাদের মেয়ে আয়শার লাশ দাফনের করা হয় জুরাইন কবরস্থানে। বাকি চারজনকে গ্রামের বাড়ি দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।