বাংলাদেশে গত ৩২ ঘণ্টায় চারটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে। দ্বিতীয়বার ৩.৩ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে। শেষবার অনুভূত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে; যার মাত্রা ছিল ৩.৭। এর এক সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়; যার মাত্রা ছিল ৪.৩।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ভূমিকম্পের পর এই তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় রাজধানীতে পরপর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এর এক সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ৪ দশমিক ৩।
এদিকে, আজ সকালে ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় ৩ দশমিক ৩ রিখটার স্কেলে মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায়।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদীতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৪৫০।
উল্লেখ্য, ১৮৬৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪টি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলোর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার মধ্যে। ১৮৯৭ সালে ৮ দশমিক ১ মাত্রার হয়েছে। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল ভারতে। এরপর ১৯৫০ সালের ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিও ভারতের আসামে। এছাড়া মিয়ানমার, ভুটার, নেপালের ভূকম্পনের ঢেউও এসে পড়ে বাংলাদেশে।



