মিরপুরে যে রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগেছিল, সেই ভবনটির অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে এবং বিষয়টির যথাযথ যাচাই ছাড়া তল্লাশি অভিযান চালানো কঠিন হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভবনটির ড্যামেজ হয়েছে। যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। কলামে ফাটল ধরেছে। এটা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। এগুলো যাচাই না করে সার্চ অপারেশন চালানো কঠিন হবে।’
দুর্ঘটনাকবলিত রাসায়নিক গুদামটির নাম আলম এন্টারপ্রাইজ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আলম ট্রেডার্সের মূল দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং সেটি কাটার দিয়ে কেটে খুলতে হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু তালাবদ্ধ ছিল, সেহেতু ধারণা করা হচ্ছে যে এখানে মানুষ ছিল না। তারপরও সার্চ অপারেশন না চালানো পর্যন্ত বলা যাবে না যে মানুষ ছিল কি না। সার্চ অপারেশন করতে সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘ভবনের স্ট্রাকচারাল ইস্যুটি আগে দেখতে হবে। আমরা এখন প্রগ্রেসিভ ওয়েতে যতটা সম্ভব কেমিক্যাল ড্রেন আউট করছি। এটা করে কুলিং প্রসেস চালাচ্ছি। কেমিক্যালের ড্রেন আউটের জন্য আরো সময় দরকার হবে। ৩৬ ঘণ্টাও লাগতে পারে, ৭২ ঘণ্টাও লাগতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, যে ছয় থেকে সাত ধরনের কেমিক্যাল ওই ভবনে ছিল তা থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছে এবং এই তেজস্ক্রিয়তা ৪০০ থেকে ৫০০ গজ পর্যন্ত থাকবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, এই এলাকা থেকে দূরে চলে যাওয়াই শ্রেয়। এখানে না থাকাই ভালো। এই তেজস্ক্রিয়তার কারণে মানুষের শরীরে ক্ষতি হবে, কারণ এটি রক্তে মিশে যাচ্ছে। এ এলাকা এখন নিরাপদ নয়।