মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : বিমান বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রম

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য বিমান বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুলে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত শাহীন কলেজ (৭টি), বিএএফ শাহীন হাজী আশ্রাফ আলী স্কুল এবং ব্লু স্কাই স্কুলে মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে হতাহতের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় যে সকল কোমলমতি ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবক প্রাণ হারিয়েছে, তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখনো যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দগ্ধ/আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। এই আয়োজনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় সেই দুই মহান শিক্ষিকাকে, যারা আগুনের মুখে দাঁড়িয়ে সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।

শ্রদ্ধার সাথে আরো স্মরণ করা হয় সেই সকল সাহসী শিক্ষার্থীদের, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বন্ধুদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, উক্ত বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে বিমান বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুল কলেজের অধ্যক্ষগণ, সহ-শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে দগ্ধ/আহত এবং চিকিৎসাধীন সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের চিকিৎসার তদারকি ও যাবতীয় সার্বিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইতোমধ্যেই একটি ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা সহায়তা প্রদান কেন্দ্র স্থাপন করেছে (রুম নং: ৮১১, যোগাযোগ নম্বর: ০১৭৬৯-৯৯৩৫৫৮)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই বিমানবাহিনীর দু’জন সদস্য আহত শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তায় রক্তদান করেছে। একইভাবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও (সিএমএইচ, ঢাকা) চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসা তদারকি ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে (জরুরি নম্বর সিএমএইচ: ০১৮১৫-৯১২৬১৭)।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিশ্বাস করে সকলে একত্রে ধৈর্য ধারণ করে নিয়োজিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করলে এই সংকটময় অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভবপর হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সব সময়ই দেশের জনগণের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অব্যাহত রাখবে।