বাংলাদেশের সবশেষ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল খোদ রাজধানী

বাড্ডায় উৎপন্ন হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩। এটি মৃদু মানের ভূকম্পন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশের সবশেষ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল খোদ রাজধানী
বাংলাদেশের সবশেষ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল খোদ রাজধানী |সংগৃহীত

বাংলাদেশের সবশেষ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল খোদ রাজধানী। আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর মো: গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড্ডায় উৎপন্ন হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩। এটি মৃদু মানের ভূকম্পন।

এদিকে, গত ৩২ ঘণ্টায় তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে। দ্বিতীয়বার ৩.৩ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে। শেষবার অনুভূত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে; যার মাত্রা ছিল ৪.৩।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা (আবহাওয়াবিদ) ফারজানা সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, একটি বড় ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। আবার ছোট ছোট ভূমিকম্পের পরে বড় ভূমিকম্প হয়।

তিনি আরো বলেন, ১০০ বছর বা ১৫০ বছর পরপর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। সেটার দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছি আমরা। যেহেতু শত বছর আগে ডাউকি ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১৮৬৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪টি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলোর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার মধ্যে। ১৮৯৭ সালে ৮ দশমিক ১ মাত্রার হয়েছে। ওই ‍ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল ভারতে। এরপর ১৯৫০ সালের ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিও ভারতের আসামে। এছাড়া মিয়ানমার, ভুটার, নেপালের ভূকম্পনের ঢেউও এসে পড়ে বাংলাদেশে।