যমুনা নদী রক্ষা প্রকল্পে পাচারকালে স্থানীয়দের হাতে ৬ জন আটক

পাচারের সময় স্থানীয়রা সন্দেহভাজন তিনটি ট্রাক্টর আটক করে, যার প্রতিটিতে ৩৫টি করে মোট ১০৫টি ব্লক ছিল।

সোহাগ খন্দকার, সাঘাটা (গাইবান্ধা)

Location :

Saghata
সাঘাটা থানা
সাঘাটা থানা |নয়া দিগন্ত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী এলাকায় যমুনা (ব্রহ্মপুত্র) নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত ব্লক চুরি ও পাচারকালে স্থানীয়দের হাতে তিনটি ট্রাক্টর আটক হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি কাকরা চালকসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে পাচারের সময় স্থানীয়রা সন্দেহভাজন তিনটি ট্রাক্টর আটক করে, যার প্রতিটিতে ৩৫টি করে মোট ১০৫টি ব্লক ছিল। যার সরকারি মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে আজ দুপুরে সাঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাদশাহ আলম।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই নদী রক্ষা প্রকল্পের ব্লক রাতের আঁধারে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ শুনে আসছি। জনতার সহযোগিতায় তিনটি ট্রাক্টর হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে।”

আবুল কালাম জানান, প্রায় প্রতি রাতেই এভোবেই ব্লকগুলো সড়ানো হয়। আমরা শুনেছি এই ঠিকাদার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাজ করেন। উনি এই ব্লকগুলো এখানে ফেলানোর পরে বিল তোলার পরে পানি উন্নয়ন বোডের সাথে লিয়াজো করেই ব্লকগুলো পাচার করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার এসএ টেকহাব জেভি (বারিধারা ঢাকা)র মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‘আমরা সুন্দরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটা কাজ করছি। ব্লকগুলো ওখানে নিচ্ছিলাম। সাঘাটায় ১৬৯০ ব্লক রিজেক্ট ছিল এখান থেকে ২৯০টি ওখানে রিপারিং করার জন্য আমরা নিয়ে গেছি। এই ব্লকগুলো আমরা এখানে ফেরত দিবো।”

পানি উন্নয়ন বোডের উপ-প্রকৌশলী সুমন মিয়া বলেন, বিষয়টি জানান পরে আমরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় ১০৫টি ব্লকসহ তিনটি কাকরা গাড়ি আটক করি। ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে ব্লকগুলো সুন্দরগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্লকগুলো নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছুই জানো হয়নি।