বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় জাগরণে ইকবাল ও নজরুল ইসলামের ভূমিকা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের প্রফেসর ড. জাফর আহমেদ ভুইয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ফ্যাকেল্টির ডিন প্রফেসর ড. আবদুস সালাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, বিআইআইটি’র মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবদুল আজিজ, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জাকির আবু জাফর, বিআইআইটি’র একাডেমিক ফেলো ড. মুমতাহিনা, পাকিস্তানের সাইয়েদা আনিস ফাতিমা জাইদি, জার্মানির সাইয়েদ সারওয়ার জাহির।
সম্মেলন উপলক্ষে ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের ‘নজরুলের বিদ্রোহী: সৃষ্টি ও দৃষ্টি’, ‘গুণীজনের ভাবনায় নজরুল’ ও আবদুল কাদের জিলানীর ‘মুহাম্মদ ইকবাল: বাঙালির মন ও মানসে’।
একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ (এপিএল) বইগুলো প্রকাশ করেছে। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, ইকবাল ও নজরুল দু’জনেই মানবতার জাগরণ, মুক্তচিন্তা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক; তাদের চিন্তার বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতা ও আধুনিক প্রয়োগ স্পষ্ট। ইকবাল-নজরুলের চিন্তা ও দর্শনকে সম্মান জানানো এবং বাংলাভাষাভাষী পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার প্রয়াসই হচ্ছে এই সম্মেলনে বইগুলো প্রকাশ।
সম্মেলনটি কবি-দার্শনিক আল্লামা ইকবাল ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিন্তাধারা, দর্শন ও জাতীয় চেতনার অবদান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা ও আলোচনার এক অনন্য মঞ্চ হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটোরিয়াম, আর.সি. মজুমদার অডিটোরিয়াম, শহীদ মুফাজ্জল হায়দার সেমিনার রুম এবং শামস উল উলামা লেকচার হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কাতার, মিসর, কানাডা, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, ইরান, তুরস্ক, নেপাল, মালয়েশিয়া, মরিসাস, জাপান, উজবেকিস্তানসহ মোট ২২টি দেশের খ্যাতনামা গবেষক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন।

তারা এখানে মোট ১৮টি সেশনে ১২৭টি মূল্যবান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। কনফারেন্সের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান কবিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত জমজমাট মুশায়েরা ও গজল সন্ধ্যা, যা উপস্থিতদের অন্তর জয় করেছিল।



