১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজায় গণহত্যার নিন্দা করায় মুসলিম নার্সকে বরখাস্ত করল মার্কিন হাসপাতাল

বরখাস্ত নার্স হেসিন জাবর - ছবি : সংগৃহীত

গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দেয়ায় একজন মুসলিম নার্সকে বরখাস্ত করেছে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতাল।

শুক্রবার আলজাজিরা বিষয়টি নিশ্চিত করে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ওই মুসলিম নার্সের নাম হেসিন জাবর। হেসিন গত কয়েকদিন আগে এই চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন।

আলজাজিরা জানায়, ৭ মে এই নার্স প্রসবের সময় সন্তান হারানো শোকার্ত মায়েদের যথাযথ সেবা প্রদানের কারণে হাসপাতাল থেকে একটি পুরস্কার পান।

সেদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, এতে তিনি গাজা উপত্যকায় মায়েরা এবং তাদের সন্তানেরা যে বর্বরতার শিকার হচ্ছে তা উল্লেখ করে নিজের দুঃখের কথা ব্যক্ত করেন।

নার্স নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, পুরস্কার পাওয়ার পর তার কাজের প্রথম দিনে অর্থাৎ ২২ মে তাকে হাসপাতালের পরিচালক এবং নার্সিং বিভাগের উপ-প্রধানের সাথে একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছিলো এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার দেয়া বক্তৃতা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো।

নার্স বলেন, তাকে জানানো হয়, তিনি অন্যদের বিপদে ফেলেছেন, মানুষদের বিরক্ত করেছেন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নষ্ট করেছেন। কিছুক্ষণ পর তাকে আবার ডাকা হয়। তখন তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয় এবং হাসপাতাল থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।

হাসপাতালটির মুখপাত্র স্টিভ রেটিয়া বলেন, গাজা সম্পর্কে তার মন্তব্যের পর নার্সকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ডিসেম্বর মাসে গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই বিভাজনমূলক ইস্যু নিয়ে কর্মক্ষেত্রে তাকে কোনো ধরনের মন্তব্য উত্থাপন না করতে সতর্ক করা হয়েছিলো।

মুখপাত্র জানান, হেসিন জাবর পূর্ববর্তী সতর্কতার দিকে মনোযোগ দেননি এবং হাসপাতালে তার বিপুল সংখ্যক সহকর্মীদের উপস্থিতিতে তাদের সম্মান জানানোর জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন যা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বিরক্ত করে তোলে।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, নিউইয়র্ক টাইমস ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নার্সের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। যেখানে তিনি তার ১১ বছর বয়সের একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। লুইজিয়ানাতে একটি স্কুলে একজন স্কুল কর্মকর্তা তাকে বাইবেল গ্রহণ করতে বাধ্য করেছিলেন অথচ তখন তিনি মুসলিম।

গাজার সমর্থন এবং ৮ মাস ধরে চলমান ইসরাইলি যুদ্ধের নিন্দা করার কারণে আমেরিকাতে অনেক মুসলিম সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার হন। গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধের পক্ষপাত, ইসলামফোবিয়া, মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা এবং তাদের বিরোধিতা আমেরিকাতে ২০২৩ সালে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। গত এপ্রিলে একটি সংস্থার প্রকাশিত এক তথ্যে বিষয়টি উঠে আসে।

-আলজাজিরা অবলম্বনে ইমাম হুসাইনের অনুবাদ


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

সকল