২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আইনি লড়াইয়ের নামে সংগৃহীত তহবিলে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করছেন ট্রাম্প

ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

হেরেছেন। তবু হার স্বীকার করেননি। ট্রাম্পোচিত মেজাজে রয়েছেন। আপাতত পানি গড়িয়েছে আদালতের দরজায়। তার মোকাবিলায় ‘সেভ আমেরিকা’ নামে পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির মাধ্যমে শুরু করেছেন তহবিল সংগ্রহের কাজ। এই অর্থই ট্রাম্প তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করতে পারেন বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দলে প্রভাব বজায় রাখতেও এই তহবিল ব্যবহার করতে পারেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর বাজিমাত করেছেন জো বাইডেন। এতকিছুর পরও দমে না গিয়ে ২০২৪ সালে ফের প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার কথা ভাবছেন বলে দাবি ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠদের। নতুন পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির এই পদক্ষেপ সেই জল্পনা আরো উস্কে দিয়েছে। যদিও ট্রাম্পের ক্যাম্পেন টিমের মুখপাত্র টিম মুর্টাহের দাবি, ‘নির্বাচনে হারা-জেতার উপর কিছু নির্ভর করে না। আগে থেকেই এনিয়ে পরিকল্পনা ছিল ট্রাম্পের। ভোটে কারচুপি বা জালিয়াতির মতো বিষয়ে প্রার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ অনুমোদনের জন্য নতুন এই পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির তরফে ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে আবেদনও জানানো হয়েছে। টিম-ট্রাম্পের তরফে এই পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির জন্য ইতিমধ্যে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সংগৃহীত অর্থের ৬০ শতাংশ যাবে ইলেকশন ডিফেন্স টাস্ক ফোর্স ‘সেভ আমেরিকা’র তহবিলে। ৪০ শতাংশ অর্থ পাবে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির অপারেটিং অ্যাকাউন্ট। রিপাবলিকান দলের মধ্যে নিজের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখতেই ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের জন্য টাকাও ঢালতে পারবেন ডন।

জানা গেছে, একজনের থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার অনুদান গ্রহণ করতে পারবে এই অ্যাকশন কমিটি। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির থেকেও অনুদান নিতে পারবে ‘সেভ আমেরিকা’। তহবিল সংগ্রহের জন্য নির্বাচনের রাত থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে টিম ট্রাম্প। ৩ নভেম্বর রাত ১১টা বাজতেই ১৪৯ জনেরও বেশিজনের কাছে ইমেইল পাঠানো হয়। আমেরিকার একতা বজায় রাখতে প্রত্যেক দেশপ্রেমিক সমর্থককে এগিয়ে এসে অনুদান দেয়ার জন্য আবেদনও জানানো হয়।

ট্রাম্পের এই তহবিল সংগ্রহের কড়া সমালোচনা করেছেন ‘পলিসি অ্যান্ড লিটিগেশন অ্যাট কমন কজ’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পল রায়ান। তার কথায়, ‘ভোট সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ের নামে ট্রাম্প অর্থ সংগ্রহ করছেন। অথচ তা এমন একটি অ্যাকাউন্টে রাখছেন, যেখান থেকে তিনি নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারেন।’ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্ব এই ডলার খরচের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতির ধার ধারেন না বলেও অভিযোগ রায়ানের। যদিও টিম ট্রাম্পের তরফে এনিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement