২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ফ্লয়েড হত্যায় বিক্ষোভ : দায়িত্বপালনের সময় পুলিশের রাবার বুলেটে চোখ হারালেন মার্কিন সাংবাদিক

- সংগৃহীত

ফ্লয়েড হত্যায় বর্ণবাদী বিক্ষোভের টানা সপ্তম দিন চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। কারফিউ না মেনেই বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিক ও বিক্ষোভকারীদের ওপর 'অতর্কিতে' হামলা চালিয়েছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি লিন্ডা টিরাডো নামে এক ফটো সাংবাদিক মার্কিন দাঙ্গা পুলিশের হামলায় চিরদিনের জন্য একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন।

নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ বলছে, পুলিশের এ ধরনের হামলা সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর অগ্রহণযোগ্য প্রচেষ্টা।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দিনে অন্তত ৯০ জন সাংবাদিক পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকরা তাদের পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়।

বিবিসির অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফটো সাংবাদিক লিন্ডা টিরাডো বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি চিরকালের জন্য তার এক চোখ দিয়ে আর দেখতে পাবেন না। পুলিশের রাবার বুলেট তার চোখে আঘাত করে।

এছাড়া শনিবার রাতে রয়টার্সের আরো দুই সাংবাদিক জানান, দায়িত্বপালনের সময় পুলিশের রাবার বুলেটে তারা বিদ্ধ হয়েছেন। ক্যামেরাম্যান জুলিও সিজার শ্যাভেজ বলেছেন, পুলিশ তাকে টার্গেট করে সরাসরি হামলা চালিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে- তাদের সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ পুলিশকে সরবরাহ করা হলেও মিনেপোলিস পুলিশ বিভাগ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত ২৯ তারিখে বিক্ষোভের কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করার সময় মিনেসোটা পুলিশ সিএনএন'র সাংবাদিক ওমর জিমনেজকে গ্রেফতার করে। কী কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে এর জবাবে কোন উত্তর দেয়নি পুলিশ। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও গুঁড়া মরিচ দিয়ে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় চলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির অকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়ায় কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সেইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের অতর্কিত হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিভিন্ন শহরে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া ও দোকানপাট লুটের ঘটনাও ঘটেছে।

দেশটির ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও ১৫ রাজ্যে তাদের ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সোমবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনেপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নির্মমভাবে নিহত হন। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে মিনেপোলিস পুলিশ বিভাগ। এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা ৪৪ বছর বয়সী দেরেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement