মার্কিন নৌবাহিনীতে সহকর্মীদের ধর্ষণের পরিকল্পনা!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ মে ২০১৯, ০৮:০৪
‘ধর্ষণের তালিকা’ তৈরি করে রেখেছিলেন মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মীরা৷ ওই তালিকায় লেখা রয়েছে কাকে, কীভাবে ধর্ষণ করা হবে, ঠিক কতটা জঘন্য আচরণ করা হবে ওই মহিলার সঙ্গে৷ সাবমেরিনের নেটওয়ার্ক ঘেঁটে লুকিয়ে রাখা ওই ফোল্ডারটি উদ্ধার করার পর চক্ষু চড়কগাছ কমান্ডিং অফিসারদের৷ গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিন ইউএসএস ফ্লোরিডার এমন ঘটনা সামনে আসায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ইউএসএস ফ্লোরিডার গ্রুপ ১০-এর কমান্ডার জেফ জ্যাবলনের সঙ্গে কথা বলে ৭৪ পাতার ‘রেপ লিস্ট’ প্রকাশ্যে এনেছে মিলিটারি.কম। আগে সাবমেরিনে শুধুমাত্র পুরুষদেরই নিয়োগ করা হতো৷ তবে ইউএসএস ফ্লোরিডায় গত বছর থেকে মহিলা কর্মী নিয়োগ করা শুরু হয়েছে৷ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কর্মকর্তা এবং অন্যদের মিলিয়ে ১৭৩ জনের মধ্যে ৩২ জন মহিলা কর্মী নিয়োগ করা হয়৷ মিলিটারি.কম সূত্রের খবর, অভিযোগ ওঠে ঠিক তারপরই। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এক নৌ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা৷ তবে সুবিচার তিনি পেয়েছেন কিনা, তা আজও জানা যায়নি৷
মিলিটারি.কম-এর দাবি, তারপরেই জুন মাসে ‘ধর্ষণের তালিকা’ তৈরি করেন নৌবাহিনী কর্মী ও কর্মকর্তারা। কম্পিউটারের একটি গোপন ফোল্ডারে রাখা ছিল সেই তালিকা। তাতে একের পর এক মহিলা কর্মীর নাম লেখা রয়েছে৷ তবে উল্লেখ রয়েছে তারা কোন স্তরের পদাধিকারী, তাদের কথাবার্তা বলার ধরন, সাজপোশাক, চেহারার বিস্তারিত বিবরণ এবং পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা৷ এই বিভিন্ন বিষয়ে তুল্যমূল্য বিচার করেই নামের পাশে দেয়া ছিল তারকা চিহ্ন৷ এছাড়াও এক-এক জনের পাশে লেখা ছিল ধর্ষণের পদ্ধতির বিবরণও৷ অত্যন্ত কুরুচিকর এবং যৌন আবেদনপূর্ণ মন্তব্যও লেখা ছিল ওই তালিকায়৷
‘ধর্ষণের তালিকা’ সামনে আসার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন মহিলা কর্মীরা৷ রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা৷ যদিও মিলিটারি.কম-এর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর তদন্ত শুরু করেছে ন্যাভাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন টিম৷ ইতিমধ্যে দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে৷
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা