২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গোপন ছবি দিয়ে বিশ্বের সেরা ধনীকে ব্ল্যাকমেল!

জেফ বোজেস - ছবি : সংগ্রহ

বিশ্বের সেরা ধনী অ্যামাজন ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজেসকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, ট্যাবলয়েড পত্রিকা ন্যাশনাল এনকোয়ারার এক বান্ধবীর সাথে তার গোপন কিছু ছবি নিয়ে তাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে।

গত মাসেই স্ত্রী ম্যাকেন্জির সাথে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বিশ্বের সেরা ধনী বোজেসের। তার কিছুদিন আগ থেকেই পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন বোজেস এমন কথা বাজারে চাউর হয়েছিল। আর সেই বান্ধবীর সাথে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবিই হাতে এসেছে এনকোয়ারারের। কিছু অশ্লীল ম্যাসেজের স্ক্রীনশটও আছে তার মধ্যে। পত্রিকাটির মালিক পক্ষ বোজেসের বিরুদ্ধে সেগুলো নিয়ে মাঠে নামছেন বলে দাবি করছেন বোজেস। যদিও বোজেস নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক।

সাবেক টিভি উপস্থাপক লরা সানচেজের সাথে বোজেসের ঘনিষ্ঠতার ছবি ও মেসেজ প্রকাশের হুমকি দিয়ে এনকোয়ারার পত্রিকার মালিকের পক্ষ থেকে বোজেসেকে একটি ইমেইল করা হয়েছে। বোজেস সেই ইমেইলটি প্রকাশ করেছেন নিজের এক ব্লগ পোস্টে। তবে তিনি জানিয়েছেন এই হুমকির কাছে মাথা নত করবেন না তিনি। তবে এটিও চান না যে, ওই ছবিগুলো জনসমক্ষে আসুক।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের এক হোটেলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নৈশভোজে মেতে ওঠেন জেফ বেজোস ও লরা। এনকোয়ার দাবি করে, সেখানে তাদের ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়। এর বাইরে লরাকে লেখা নানা রগরগে বার্তা ফাঁস হয়ে যায় অনলাইনে।

ছবি ও গোপন মেসেজগুলো কিভাবে ফাঁস হলো সেটি নিয়ে গুরুত্বের সাথে ভাবছেন জেফ বোজেস। তার নিরাপত্তা টিম ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু যাদের হাতে সেগুলো আছে তারা চায় এ নিয়ে তদন্ত না হোক। আর সেটি অনুসন্ধান না করার জন্যই তারা ব্ল্যাকমেল করছে। বোজেস বলেছেন, তাকে যে ইমেইল পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে বার্তা ও ছবিগুলো কিভাবে ফাঁস হয়েছে সেটি অনুসন্ধানে নামলে সেগুলো প্রকাশ করে দেয়া হবে।

ট্রাম্পের সাথে শত্রুতা!
বোজেস বলেছেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাটি কিনে নেয়ার পর থেকেই অনেক ক্ষমতাশালী লোক তার শত্রুতে পরিণত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আর ন্যাশানাল এনকোয়ারার পত্রিকাটির মালিক ডেভিড পেকার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

ট্রাম্পের সাথে ওয়াশিংটন পোস্টের শত্রুতা সবার জানা। এই পত্রিকাটি তাকে নানা ভাবে বিপাকে ফেলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বারবারই বলেছেন, পত্রিকাটি মিথ্যা নিউজ করে তাকে বিপদে ফেলতে চাইছে। তাছাড়া বেজোস ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরোধিতায় সোচ্চার ছিলেন। তাই বোজেসকে ব্ল্যাকমেইল করার পেছনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোন ইশারা আছে কি না সেটি চলছে জল্পনা-কল্পনা। তার  নিরাপত্তা টিমও এমনই ধারণা করছে।

বেজোসের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এর পেছনে পুরোটাই রাজনীতি। জেফ বেজোস ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে সাপে-নেউলের সম্পর্কের পরিণতি।

৫৪ বছর বয়সের জেফ বেজোসের এখন সম্পদের পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি অনলাইনে পণ্য বিক্রয় বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যামাজন ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা।


আরো সংবাদ



premium cement