ইউক্রেনের পুরনো সীমানা ফিরে পাওয়ার আশা ‘অবাস্তব’ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২
ইউক্রেনের ২০১৪ সাল থেকে হারানো এলাকা ফিরে পাওয়ার আশাকে ‘অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে না যে ন্যাটোতে কিয়েভের সদস্যপদ লাভ রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তির কোনো ‘বাস্তবসম্মত ফলাফল’ হতে পারে।
হেগসেথ অন্যান্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বলেন, ‘আপনাদের মতো আমরাও একটি সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন দেখতে চাই। কিন্তু আমাদের এটা স্বীকার করতে হবে, ইউক্রেনের ২০১৪ সাল থেকে হারানো সীমান্তে ফিরে যাওয়া একটি অবাস্তব লক্ষ্য। এই মরীচিকার পেছনে ছুটলে যুদ্ধ শুধুই দীর্ঘায়িত হবে এবং কষ্ট আরো বাড়বে।’
এখনো কোনো শান্তি আলোচনার আয়োজন করা হয়নি। তবে হেগসেথ জানান, যুদ্ধের টেকসই সমাপ্তি টানতে হলে সেখানে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে, যা নিশ্চিত করবে যে যুদ্ধ আবারো শুরু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে না ন্যাটোতে কিয়েভের সদস্যপদ লাভ আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার একটি বাস্তবসম্মত ফলাফল হতে পারে।’
এ ধরনের ফলাফল সামরিক জোটের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা বিধান বাস্তবায়নের প্রয়োজন সৃষ্টি করবে, যার মাধ্যমে ন্যাটোর ৩২টি সদস্য রাষ্ট্রের যে কেউ আক্রান্ত হলে অন্যরা তাদের পক্ষে লড়াই করতে বাধ্য।
কিয়েভ অনেক দিন ধরে ন্যাটোর সদস্য হতে চাইছে। জোটের অন্যান্য সদস্যরা বলছে তারা সেটাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে নয়।
এ বিষয়ে হেগসেথ বলেন, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি ‘শক্তিশালী ইউরোপিয়ান এবং ইউরোপিয়ান নয় এমন সেনাদের মাধ্যমে’ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি বলেন, ‘এই সৈন্যদের যদি কোনো এক সময়ে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষক হিসেবে মোতায়েন করা হয়, তাহলে তাদের একটি ন্যাটো-বহির্ভূত মিশনের অংশ হিসেবে মোতায়েন করা উচিত এবং তারা আর্টিকেল-৫-এর আওতায় পড়বে না।’ ন্যাটোর পারস্পরিক প্রতিরক্ষার বিধান আর্টিকেল-৫ নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০১৪ সালে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কিয়েভ বাহিনীর সাথে লড়াই করছে। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ণ অভিযান শুরু করে। তারা বর্তমানে ইউক্রেনের ২০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা