ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া রফতানিকারকদের সর্বোচ্চ আর্থিক সাহায্য দেবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে বদলের ফলে কোনো নেতিবাচক প্রভাবকে প্রশমিত করতে রফতানিকারকদের জন্য সোমবার রেকর্ড পরিমাণ আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকার করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, কেননা ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন।
ওই দেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রফতানি সংস্থাগুলোকে ৩৬০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ২৪৭.৭৪ বিলিয়ন ডলার ‘পলিসি ফিনান্স’ হিসেবে দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
এই মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসনের আমলে বাহ্যিক অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং রফতানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, তারা বৈদেশিক মুদ্রার ভঙ্গুরতা থেকে রক্ষা করতে বীমা সহায়তাকে চলতি বছরে ৯৬৬ মিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবে যা গত বছরে ছিল ৮২৭ মিলিয়ন ডলার এবং বাণিজ্য মেলা ও প্রতিনিধি দল পাঠানোর মতো সরকারি প্রকল্পগুলোতে ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে যা গত বছর ছিল ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার।
এই মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে যেসব ক্ষেত্র বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেগুলো হলো, সেমিকন্ডাক্টর ও রিচার্জযোগ্য ব্যাটারি। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক শক্তি ও জাহাজ নির্মাণকারী ক্ষেত্রগুলোকে সম্ভাবনাপূর্ণ মনে করা হচ্ছে কারণ এগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার অবকাশ রয়েছে।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের মতো প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করার অঙ্গীকার করেছেন। এর ফলে ওই দেশগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব সংস্থা রয়েছে সেগুলো প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধেও ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্যিক নীতি আরোপ করতে পারে, সেই উদ্বেগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য করে ৫৫.৭ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত (সর্বোচ্চ রেকর্ড) উপার্জন করেছে যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫.৪ শতাংশ বেশি।
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা