১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ ব্লিঙ্কেনের বিরুদ্ধে

- ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে হেনস্তার শিকার হলেন এক সাংবাদিক। গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করায় তাকে ব্রিফিং রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেষ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই দিন গাজা ইস্যুতে সাংবাদিকদের একের পর এক তীক্ষ্ম প্রশ্নবানে জর্জরিত হন তিনি। এক পর্যায়ে গাজা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেন স্যাম হুসেইনি নামের এক সাংবাদিক। মুহূর্তের মধ্যে সবার সামনে থেকে তাকে জোর করে নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। এ সময় স্যাম হুসেইনি বার বার তার গায়ে হাত দিতে নিষেধ করলেও তা তোয়াক্কা করেনি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।

সাংবাদিক স্যাম হুসেইনি বলেন, ‘আমি এখানে চুপচাপ বসেছিলাম। আমাকে দু’তিনজন লোক হেনস্তা করে। আপনি মুক্ত সংবাদপত্র, মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলেন। আপনি আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন। তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন না বলার পরে আমি উনাকে প্রশ্ন করেছি।’

এক পর্যায়ে স্যামকে বারবার নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন। জবাবে অবজ্ঞার সুরে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘অ্যামনেস্টি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত সবাই যখন বলছে ইসরাইল গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র চলমান প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে বলছে।’

স্যাম হুসেইনি আরো বলেন, ‘আপনি একজন যুদ্ধাপরাধী। আপনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হওয়া উচিত।’

শান্তি চুক্তি আগে থেকেই থাকলে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র কেন বোমা হামলা চালাতে ইসরাইলকে সব ধরনের সহযোগিতা দিল সেই প্রশ্ন তোলেন ম্যাক্স বলুমেন্থাল নামের আরেক সাংবাদিক।

তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে মামলার তদন্তে নেমেছে ইসরাইল। তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে, আইন আছে জানিয়ে ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ব্লিঙ্কেন।’

এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেন, ‘এই চুক্তি ১৯ জানুয়ারি রোববার থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকজন বন্দীকে হামাস মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে।’

একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাদাভাবে যুদ্ধ বিরতির কথা নিশ্চিত করেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা নেতানিয়াহুকে অস্ত্র সরবরাহ করে গণহত্যায় শামিল হয়েছে আমেরিকা : বার্নি স্যান্ডার্স নতুন করা আরোপের সিদ্ধান্তে যে ১০টি আশঙ্কা দেখছে বিএনপি বিইউবিটি-তে স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : গোলাম পরওয়ার মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন উৎপাদনে মডার্নাকে ৫৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ১২ শ’ কেজি জাটকা ইলিশ উদ্ধার হামাসের কাছে পরাজয়ের কথা স্বীকার করলেন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পঞ্চগড়ের সব চা কারখানা দু’মাস বন্ধ থাকবে নবাবগঞ্জে ডোবা থেকে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার, আটক ২ লস এঞ্জেলেস দাবানলের শিকারদের উদ্ধারে কুকুরে অমূল্য প্রমাণিত

সকল