১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় গড়তে সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এসটিএ) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সরকারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সংশোধন করতে দুই দেশ এক দলিলে স্বাক্ষর করেছে এবং এ চুক্তিকে আরো পাঁচ বছরের জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

শুক্রবার দেশ দু’টির পররাষ্ট্র দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

এসটিএ প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৯ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও চীনের নেতা ডেং জিয়াওপিং-এর মধ্যে। এ চুক্তির লক্ষ্য হলো, কৃষি, বিদ্যুৎ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, বিশ্ব বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিক্ষা ও গবেষণাগত আদান-প্রদানের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয়ের পথকে সহজতর করা।

সংশোধিত চুক্তিটি ২৭ আগস্ট থেকে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য আগেই কার্যকর হয়েছে এবং উভয় দেশের প্রতিনিধিরা বেইজিং-এ এটি স্বাক্ষর করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ চুক্তি থেকে ‘গুরুতর ও আসন্ন প্রযুক্তিগুলোকে’ বাদ দেয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র দফতরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদদাতাদের বলেছেন, নতুন চুক্তিটি আগের চুক্তির সুযোগ ও সম্ভাবনাকে আরো ছোট করে এনেছে এবং ‘পারস্পরিকতা, স্বচ্ছতা ও উন্মুক্তিকে’ নিশ্চিত করতে ‘গার্ডরেলস’ চালু করেছে।

চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ফেব্রুয়ারি মাসে সংবাদদাতাদের বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত আদান-প্রদান ও সমন্বয়ের ধরনটি ‘পারস্পরিকভাবে লাভজনক এবং উভয়ের জন্য ভালো।’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় গত কয়েক বছর ধরে সমালোচনার মুখে পড়েছে এবং নিরাপত্তাগত উদ্বেগ তৈরি করেছে। সমালোচকদের যুক্তি, এ চুক্তি বেইজিং-এর সামরিক সক্ষমতাকে আরো জোরদার করতে পারে।

২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট এ চুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হতে চলেছিল তখন রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিক (একে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসঙ্ঘের দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন) ও অন্যান্য আইনপ্রণেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে এসটিএ পুনর্নবীকরণ না করতে অনুরোধ করেছিলেন।

সংশোধিত চুক্তিটি আবহাওয়া, সমুদ্রবিজ্ঞান ও ভূতত্ত্বের মতো নানা ক্ষেত্রে প্রাথমিক গবেষণার ওপর নজর দিয়েছে।

পররাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, সুনামি সতর্কতা, ইনফ্লুয়েঞ্জা তথ্য, বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও কীট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত গবেষণা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করবে এসটিএ।

পররাষ্ট্র দফতরের আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, সংশোধিত এসটিএ-র নিয়ম অনুযায়ী ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং বিদ্যুৎ ও কৃষি দফতরের মতো সংস্থাগুলো চীনের এ বিষয়ক সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয়, তথ্য লেনদেন চুক্তি ও যৌথ গবেষণা প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে পারবে।

পররাষ্ট্র দফতর প্রস্তাবিত যৌথতা বিষয়ে পর্যালোচনা করছে, পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের নেতৃত্বে এক বৃহত্তর আন্তঃসংস্থা পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে এ পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি। একবার যাচাই করা হয়ে গেলে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হতে পারে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement