১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন। - ছবি : রয়টার্স

বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার এই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাদের একের পর এক পদত্যাগের পর দেশটির সরকারে কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন জনসন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জনসন বলেন, ‘দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী সময়ে একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ করা হবে। আজ থেকেই এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব আমি।’

নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজ দলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের তোপের মুখে পড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যে পদত্যাগ করছেন, তা বুধবারই চাউর হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সংবাদমাধ্যমে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছিল, শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বরিস জনসন।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও তিনি অব্যাহতি নেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পদত্যাগের ঘোষণায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে আর থাকতে না পারার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন বরিস জনসন।

গত কয়েক দিন ধরে এই পদ আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ঘনিষ্ঠ সব মন্ত্রী ও মিত্রদের একের পর এক পদত্যাগের কারণে সরকার পরিচালনায় সঙ্কটে পড়েন তিনি।

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বিষণ্ণ মনে পদত্যাগের ঘোষণায় তিনি বলেন, অবশ্যই, এতসব ধ্যান-ধারণা আর প্রকল্পে নিজেকে দেখতে না পারাটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

তবে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও আগামী শরৎকাল পর্যন্ত দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনে নির্বাচিত দলীয় প্রধান নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।

বৃহস্পতিবার মাত্র দুই ঘণ্টায় জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্তত আট মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারের অন্তত ৫০ শীর্ষ সহযোগী পদত্যাগ করায় জনসন কার্যত ‘একাকী এবং ক্ষমতাহীন’ হয়ে পড়েন। যে কারণে ক্ষমতাহীন জনসনের নতি স্বীকার করে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘বঙ্গবন্ধু নয়, জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন’ জবাবদিহির সরকার ও কার্যকর সংসদ জনগণের ক্ষমতা রক্ষা করতে পারে : তারেক রহমান আনন্দমুখর পরিবেশে বশেমুরকৃবি’তে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত সিরিয়ার কয়েকটি শহরের পানি ও বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিলো ইসরাইল ‘মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী বিরোধী হলে তাকেও রাজাকার আখ্যা দেয়া হতো’ সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর চাপ, ইসরাইলকে আরব দেশগুলোর নিন্দা ২৩ ডিসেম্বর ভারতজুড়ে বিক্ষোভের ডাক কৃষকদের ফতুল্লা থানা বিএনপির বিজয় র‍্যালী অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে আ’লীগ নেতাসহ আটক ৮ যারা দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছে, তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে : জামায়াত আমির

সকল