২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রিন্স হ্যারির রাজপরিবার ত্যাগ, পারিবারিক অশান্তির খবরে তোলপাড়

প্রিন্স হ্যারির রাজপরিবার ত্যাগ, পারিবারিক অশান্তির খবরে তোলপাড় - ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্দ্বন্দ্বের ছায়া ক্রমশই ঘিরে ধরছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারকে। বহুবার তা প্রকাশ্যেও এসেছে। কিন্তু এবার যা ঘটল, তা কার্যত নজিরবিহীন ব্রিটিম রাজপরিবারের ইতিহাসে। নিজেদের রাজকীয় পরিচয় ছাড়লেন প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মর্কেল। আপাতত পরিবারের সর্বজ্যেষ্ঠ সদস্য, অভিভাবকসম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কিংবা বাবা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে আলোচনা না করেই সংবাদমাধ্যমে এই ঘোষণা করে দিলেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স। জানালেন, তারা উত্তর আমেরিকা টুরে যাচ্ছেন।

চার্লস-ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়ম ও প্রিন্স হ্যারির মধ্যে সদ্ভাব বিশেষ না থাকলেও, কোনো শত্রুতা সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে রাজপরিবার ঘনিষ্ঠদের অনেকর মতেই, প্রিন্স হ্যারির বিয়ের পর মেগান মর্কেল তাদের পরিবারে পা রাখতেই নাকি সমস্ত কোন্দলের শুরু। দু’ভায়ের পরিবারে এমনই ঝাগড়ঝাঁটি হতে থাকে যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত একটা সময় বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবাদ থামাতে আসরে নামেন স্বয়ং রানি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো গেল না। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মর্কেল বাড়ি থেকে বেরিয়েই গেলেন। এর জন্য পরোক্ষে পাপারাজিদের দায়ী করে গেলেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছেন যে প্রচারের আলো থেকে সরে আসতে তাদের অনেক লড়তে হচ্ছে। অনেক নেতিবাচক খবরাখবর হচ্ছে তাদের ঘিরে, যা তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। বিবৃতিতে আরও লেখা – ”আমরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চাই।এই রাজপরিবারের বাইরে বেরিয়ে সাধারণের সঙ্গে মেলামেশার যে পরিবেশ, তা উপভোগ করতে চাই। ভেবেছি, ইংল্যান্ড ও উত্তর আমেরিকায় ঘুরিয়েফিরিয়ে সময় কাটাব। এও চাই যে রানি নিজের রাজত্ব সামলে শান্তিতে থাকুন।”

হ্যারি-মেগানের এই বিবৃতি বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই পৌঁছেছে বাকিংহাম প্যালেসের অন্য সদস্যদের কাছে। মুখ রক্ষায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পালটা বিবৃতি দিয়ে রানি জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত আলোচনা হ্যারি-মেগানের সঙ্গে তার হয়েছিল বহু আগে। আমরা জানতাম যে ওরা আলাদাভাবে কিছু করতে চায়। তবে তাতে আরো কিছুটা সময় নেবে বলে ভাবা হয়েছিল।” এই বিবৃতি থেকেই স্পষ্ট, কতটা হতাশ তারা। কিছুটা আশাহতও।

প্রিন্স উইলিয়াম, স্ত্রী কেট এবং প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল – এরা সকলেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রথম সারির সদস্য বলে পরিচিত। রাজ সিংহাসনের উত্তরসূরি। অন্দরের খবর, সম্প্রতি হ্যারি ও উইলিয়মের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এমনকি হ্যারি নিজে তা স্বীকার করে বলেছেন যে বড় ভাইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কে খারাপ সময় চলছে। ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্সের খরচখরচাও অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। সাসেক্সে তাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি থেকে সেই ভার বহন করা হচ্ছিল। এসব নিয়ে রাজপরিবারে অশান্তিও বাড়ছিল। তবে এত দ্রুত তাদের এই সিদ্ধান্তে বড়সড় ধাক্কা খেল বাকিংহাম প্যালেস। ব্রিটেনের দু,একটি সংবাদমাধ্যম তাঁদের এই রাজকীয়ত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্তকে মজা করে বলছে, ‘মেক্সিট’।


আরো সংবাদ



premium cement
আতঙ্ক নয়, পুলিশ হবে জনগণের ভরসা : জিএমপি কমিশনার হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : উপদেষ্টা রাজশাহীতে সাবেক এমপি রায়হান গ্রেফতার পাবনায় পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার চট্টগ্রামে আইনজীবী কুপিয়ে হত্যা করল চিন্ময়ের সমর্থকরা তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ বিপুল পরিমাণে বিদেশী মুদ্রাসহ শাহ আমানতে যাত্রী আটক রাখাইনে গণহত্যা ও চলমান সহিংসতার বিচারের দাবি রোহিঙ্গাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ

সকল