বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩
বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি জন টিনিসউড ১১২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে। ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করা জন টিনিসউড দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, দু’টি বৈশ্বিক মহামারির সাক্ষী।
গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
কয়েকমাস আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জনের পরিবার জানায়, ‘জনের অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি বুদ্ধিমান, সাহসী, যে কোনো সঙ্কটে শান্ত, গণিতে প্রতিভাবান এবং একজন দুর্দান্ত আলোচনাকারী ছিলেন।’
১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জন টিনিসউড তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সাথে একটি নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। যুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পে কর্পসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জন। রয়্যাল আর্মি পে কর্পস মূলত সৈন্যদের বেতনভাতা ও খাদ্য সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।
জন টিনিসউড এক মেয়ে, চার নাতি-নাতনি এবং তিন প্রপৌত্র রেখে গেছেন। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয়ার আগে তেল শিল্পে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তার স্ত্রী ব্লডওয়েন মারা যান।
১০০ থেকে ১১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রতিবছর পরলোকগত রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে জন্মদিনের কার্ড উপহার পেতেন। ২০২২ সালে মারা যাওয়া রানী এলিজাবেথ জন টিনিসউডের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। দৈনন্দিন খবরের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং নিজের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও নিজেই করতেন, যা সম্ভবত তার দীর্ঘায়ুতে অবদান রেখেছিল।
চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস যখন তাকে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষের খেতাব প্রদান করে, তখন টিনিসউড বলেছিলেন, তার দীর্ঘায়ু হওয়ার কোনো বড় রহস্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এটি ‘শুধুই ভাগ্য’।
ওই সময় জন টিনিসউড বলেন, ‘আপনি দীর্ঘায়ু হন, অথবা আপনি স্বল্পায়ু হন- এ বিষয়ে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা