২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উগ্রবাদীদের সিরিয়া-ইরাকে আশ্রয় নিতে দেবে না তুরস্ক

পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু - ছবি - এএ

তুরস্ক উগ্রবাদী গোষ্ঠী পিকেকে এবং এর শাখা ওয়াইপিজি ও পিওয়াইডি’কে সিরিয়া ও ইরাকে আশ্রয় নিতে দেবে না।

সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্টে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু এই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা উগ্রবাদী গোষ্ঠী পিকেকে, ওয়াইপিজি, পিওয়াইডি’কে সিরিয়া ও ইরাকে আশ্রয় নিতে দেবো না। আমরা কোনোভাবেই এর অনুমতি দিবো না। যে যাই বলুক না কেন, আমরা যা যা প্রয়োজন তা-ই করব।

গত মাসে ইরাক এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত বিমান অভিযান ‘অপারেশন ক্ল-সোর্ড’ শুরু করে তুরস্ক।

উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তজুড়ে লুকিয়ে আছে। তারা সেখান থেকে পরিকল্পনা করে এবং তুরস্কে হামলা চালায়।

বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান উগ্রবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ভূখণ্ডে অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জোর দিয়ে বলেন, ‘সিরিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আমরা সরকারের (আসাদ) সাথে কিছু সময় আলোচনা করেছি। সরকার যদি বাস্তবসম্মতভাবে কাজ করে, তাহলে আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং সিরিয়ানদের প্রত্যাবর্তনে একসাথে কাজ করতে প্রস্তুত আছি। তবে এমনটা কল্পনা করা যায় না।’

তিনি বলেন যে ইরাকে একই নীতি অনুসরণ করেছে তুরস্ক। ইরাকের কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক সরকার উভয়কেই উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে আঙ্কারা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আহ্বানে যদি তারা সাড়া দেন, তাহলে আমরা একত্রিত হব এবং একসাথে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। কিন্তু তারা যদি প্রতিক্রিয়া না জানায়, তাহলে একাই লড়াই করব।’

উল্লেখ্য, পিকেকে’কে উগ্রবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে তুরস্ক, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ


আরো সংবাদ



premium cement