তুরস্কের দার্দানিলেসে নতুন সেতু, ইউরোপ থেকে এশিয়ায় যেতে লাগবে ৬ মিনিট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০২, আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৪
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত দার্দানিলেস প্রণালীতে ৪.৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ একটি সেতু তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটিই বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঝুলস্ত সেতু। এর নাম ‘চানাক্কালে ১৯১৫ সেতু’। এই সেতু ব্যবহার করে তুরস্কের এশীয় অঞ্চল থেকে ইউরোপীয় অঞ্চলে পৌঁছা যাবে মাত্র ছয় মিনিটে।
রোববার সেতুটি যানবাহন চলাচলারে জন্য খুলে দেয়া হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী ১৮ মার্চ।
এই সেতুকে তুরস্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করা হচ্ছে। কেননা, দার্দানিলেস প্রণালীতে এশীয় অঞ্চল থেকে ইউরোপীয় অঞ্চলে পৌঁছার একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে দার্দানিলেস পার হতে নৌকা কিংবা ফেরি ব্যবহার করা হতো। তাতে ব্যয় হতো কয়েক ঘণ্টা সময়। সেতু নির্মাণ হওয়ার পর গাড়িতে প্রণালীটি পার হতে এখন সময় লাগবে মাত্র ছয় মিনিট।
‘চানাক্কালে ১৯১৫ সেতু’র নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চে। উদ্বোধন করা হবে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ। সেতুর এক স্প্যান থেকে দ্বিতীয় স্প্যানের দূরত্ব ২০২৩ মিটার, এই বিষয়টিই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত সেতুতে রূপান্তর করেছে।
এর ৩৩৪ মিটার লম্বা লাল-সাদা পিলারগুলো তুরস্কের জাতীয় পতাকাকে প্রতিফলিত করে এবং সেগুলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সাসপেনশন পিলার।
এই সেতু তুরস্কের ভিশন-২০২৩ রূপকল্পের অংশ। এটি নির্মাণে তিন বিলিয়িন ১০ কোটি ইউরো ব্যয় হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, সেতুটি নির্মাণে দুই বিলিয়ন ৮০ কোটি ইউরো খরচ হবে, কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৩০ কোটি ইউরো বেশি ব্যয় হয়েছে।
১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে গ্যালিপলি উপদ্বীপে গ্যালিপুলি যুদ্ধের সাথে মিলিয়ে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে। তুর্কি ভাষায় এ যুদ্ধ চানাক্কালে যুদ্ধ নামেও পরিচিত।
তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়ান একটি কোম্পানি সেতুটি নির্মাণ করেছে। নির্মাণ তত্ত্বাবধান করেছে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তুরস্কে এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগকারী এটি ষষ্ঠ সেতু।
সূত্র : ডন নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা