২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তুর্কি জাহাজের সবাইকে অস্ত্রের মুখে বন্দী, ভূমধ্যসাগরে যা ঘটেছিল সেদিন

- ছবি : সংগৃহীত

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া-অভিমুখী তুরস্কের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে তল্লাশি করার প্রতিবাদ জানাতে আঙ্কারায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ, জার্মানি ও ইতালির রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তুরস্ক গত সোমবার প্রথমে অভিযোগ করে, জার্মান নৌবাহিনীর সদস্যরা তুরস্কের বাণিজ্যিক জাহাজ ‘রোজেলিন’-এ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে এটিতে তল্লাশি চালিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওই তিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোববার গ্রিসের পেলোপোনিস উপত্যকার কাছে দেশটির জাহাজে যে তল্লাশি চালানো হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন; কারণ, আন্তর্জাতিক পানিসীমায় এ ধরনের তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার কারো নেই।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ আকসাভি অভিযোগ করেছেন, জার্মান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘হামবুর্গ’ থেকে দেশটির নৌসেনারা রোজেলিনে অনুপ্রবেশ করে এবং এটির ক্যাপ্টেনসহ সব নাবিককে অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রাখে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অভিযোগ জানানো হলে তল্লাশি অভিযান অসমাপ্ত রেখেই জার্মান নৌসেনারা তুর্কি বাণিজ্যিক জাহাজ ত্যাগ করে চলে যায়।

জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দেশটির নৌবাহিনী ইইউর পক্ষ থেকে নিযুক্ত ‘আইরিনি’ বাহিনীর হয়ে ভূমধ্যসাগরে টহল দিচ্ছিল। যুদ্ধ-কবলিত লিবিয়ায় অবৈধ অস্ত্রের চালান প্রতিহত করার জন্য ‘আইরিনি’ বাহিনী গঠিত হয়েছে।

জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা তুর্কি জাহাজে অস্ত্র আছে বলে সন্দেহ করে এটিতে তল্লাশি চালাতে যায়। কিন্তু জাহাজের নাবিকদের বাধার মুখে তাদের দায়িত্ব অসমাপ্ত রেখেই সেটি থেকে নেমে যায়।

তুরস্কের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছে, রোজেলিন জাহাজে করে লিবিয়ায় খাদ্যসামগ্রী ও রঙ পরিবহন করা হচ্ছিল।

সূত্র : পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement