২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এরদোগানকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা!

- ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সরকারকে উৎখাত করতে দেশটির বিরোধী শক্তিগুলোকে সমর্থন দেয়ার পক্ষে মতামত দেন।

গত ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমসে দেয়া সাক্ষাতকারে বাইডেন এ মন্তব্য করলেও সম্প্রতি তা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়।

জানুয়ারিতে তার এ সাক্ষাতকার প্রকাশিত হলেও সে সময় বাইডেনের বক্তব্য নিয়ে খুব একটা শোরগোল হয়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শক্ত প্রার্থী হওয়ার পরেই তুরস্ক নিয়ে এমন মন্তব্যে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাইডেনকে।

বক্তব্যটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর মুখ খোলে তুর্কি প্রশাসন। কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায় দেশটির বিভিন্ন সরকারি ও দলীয় দফতরের পক্ষ থেকে। বাইডেনের এধরণের আচরণকে ভণ্ডামি বলে কটাক্ষ করে আঙ্কারা।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির মুখপাত্র ওমর চেলিক রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী জো বাইডেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে নির্বাচিত হলে তিনি তুরস্কের সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারেন।

ওমর চেলিক বলেন, কোন বিদেশী শক্তি তুরস্কের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া হবে না। তুর্কি জাতি ও প্রশাসন গণতন্ত্রকে রক্ষায় কোন ছাড় দিবে না, যেমনটি ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই ফেতুল্লাহ গুলেন অভ্যুত্থানের চেষ্ঠা ব্যর্থ হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান যেকোন বিদেশি শক্তি রূপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ১০০ ভাগ কার্যকর।

বাইডেনের বক্তব্যকে দাম্ভিকতা ও ভণ্ডামি বলে আখ্যা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।

এক টুইটে তিনি বলেন, তুরস্ককে আদেশ করার দিন শেষ। তারপরও যদি ভাড়াটেদের মাধ্যমে তুরস্কের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাহলে, আপনাকে চড়ামূল্য দিতে হবে।

তুরস্ক ন্যাটো ভুক্ত দেশ হলেও সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে এক সময়কার ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement