আয়া সোফিয়ায় নামাজ নিয়ে গ্রীসের সাথে উত্তপ্ত বাদানুবাদ তুরস্কের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ জুলাই ২০২০, ২০:২৯
ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া মসজিদ হিসেবে পুনারায় যাত্রা শুরুর একদিন পরেই তুরস্কের সাথে বাদানুবাদে জড়াল গ্রীস। শনিবার গ্রীসের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাব দেয় তুরস্কও।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে ৮৬ বছর পুনরায় মসজিদ হিসেবে চালু হয় আয়া সোফিয়া।
আয়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেবে রূপ দেয়ায় তুরস্কের সমালোচনা করে গ্রীস।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান যখন আয়া সোফিয়ায় জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। সেসময় গ্রীস জুড়ে চার্চগুলোতে শোকের ঘন্টা বাজানো হয়।
শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসোয় লিখিত বিবৃতিতে জানান, আয়া সোফিয়া নামাজের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রতিক্রিয়া দেখানোর অজুহাতে গ্রীস আবারো ইসলাম ও তুরস্কের প্রতি তার শত্রুতা প্রদর্শন করছে।
বিবৃতিতে তুর্কি পররাস্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রীসের সরকার ও সংসদ সদস্যদের উস্কাকিমূলক বক্তব্য এবং গ্রীসের থেসালোনিকি শহরে তুরস্কের পতাকা পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আয়া সোফিয়াকে তুর্কি জনগণের ইচ্ছায় মসজিদ হিসেবে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং তুরস্কের অন্যান্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো এটাও তাদের অন্তর্ভুক্ত।
গ্রীক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজকের তুরস্কের ধর্মীয় এবং জাতীয়তাবাদী কার্যক্রম দেখে হতবাক।
এর আগে শুক্রবার গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস তুরস্ককে "ঝামেলা সৃষ্টিকারী" এবং আয়া সোফিয়ার রূপান্তরকে "একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার অপমান" বলে অভিহিত করেন।
গ্রীস-তুরস্ক আকাশসীমা থেকে শুরু করে সামুদ্রিক অঞ্চল ও জাতিগতভাবে বিভক্ত সাইপ্রাস-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত নয়। এই সপ্তাহেও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়ায় দেশ দুটি। রয়টার্স।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা