ওআইসির বৈঠকে আমন্ত্রণ পেল জাতিসঙ্ঘ, ইইউ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ মার্চ ২০১৯, ১৩:২০
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নারকীয় যে হামলা হয়েছে, তা নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার বৈঠকে বসছে ওআইসি। এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও।
গত শুক্রবারের ওই বর্বরোচিত হামলার পর ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠক ডাকে তুরস্ক। নিউজিল্যান্ডের ওই হামলা এবং বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষী হামলার বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওআইসি সামিটের চেয়ারম্যান হিসেবে ইসলামবিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও অভিবাসীবিদ্বেষের কারণে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে তুরস্ক। বিশেষ করে গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছে তার প্রেক্ষিত্রে এ আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আগামীকাল শুক্রবার ওআইসির নির্বাহী কমিটির মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু।
এ বৈঠকে যোগ দিতে জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা-ওএসসিইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব সংস্থার প্রতিনিধি আগামীকালের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
আরো পড়ুন : মসজিদে হামলা নিয়ে এরদোগানের ডাকে বৈঠকে বসছে ওআইসি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৮ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৩
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের আহ্বানে আগামী ২২ মার্চ ইস্তাম্বুলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ওআইসির ওই বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘ইসলাম বিদ্বেষের লাগাম টানতে কৌশলগত করণীয় নির্ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।’
শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরের মাথায় এক কিশোরের ডিম নিক্ষেপ-সহ বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটছে। একই ধরনের একটি ঘটনা লন্ডনেও দেখা গেছে। তিনি বলেন, যদি পুরো ওআইসি এবং মুসলিম বিশ্ব একই কণ্ঠে কথা বলে, তাহলে সেটি অনেক ওজন বহন করবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তুরস্ককে লক্ষ্যবস্তু বানাতে চেয়েছিল নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে হামলাকারী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। তুরস্কের মুসলমানদের বিরুদ্ধে সে হুমকিও দিয়েছে। শনিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে এ কথা বলেন এরদোগান।
এ সময় তিনি উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে নিউজিল্যান্ডের ওই হামলাকারীর তীব্র মুসলিমবিদ্বেষী ইশতেহারের ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করেন। মসজিদে হামলার অস্পষ্ট করে দেয়া ফুটেজও দেখান তিনি।
রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, ওই হামলাকারী হুঁশিয়ারি উল্লেখ করেন, যাতে সে বলেছে, ইউরোপে তুর্কিদের কোনো ঠাঁই নেই। ইতঃপূর্বে দুই দফায় সে তুরস্ক সফর করেছে। তার ওই সফর নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ক্রস (খ্রিষ্টান ধর্ম) ও ক্রিসেন্টের (ইসলাম) মধ্যে ফের একটি সঙ্ঘাত চাই না।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের ওই হামলাকারী বলেছে, সে ইউরোপের মাটি থেকে তুর্কি মুসলমানদের উৎখাত করতে চায়। এরদোগান বলেন, ‘আমাদের ৫০ জন ভাইবোনকে শহীদ করা এই দুষ্ট লোক বলছে, আমরা শুধু আনাতোলিয়ায় (তুরস্কের এশিয়া অংশ) থাকতে পারব। আমার ইউরোপীয় অংশে যেতে পারব না। এ নিয়ে চিন্তা করার তুমি কে?’
এর আগে শুক্রবার এরদোগান বলেন, এই বন্দুকধারী আমাদের দেশ, আমাদের জাতি ও আমাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়ার উচিত ইসলামবিদ্বেষের উত্থান রোধে ব্যবস্থা নেয়া।
এরদোগান বলেন, ‘মুসলমানদের বিরুদ্ধে অক্লান্ত শত্রুতা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। মুসলমানদের ব্যক্তিগতভাবে যে হয়রানি করা হতো, তা ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সীমান্ত ছাড়িয়ে গণহত্যায় রূপ নিয়েছে। এই হামলা প্রমাণ করেছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। ইসলামভীতি কেমন বিকৃত ও খুনি মানসিকতার জন্ম দেয়, তা এর আগেও আমরা দেখেছি। দুনিয়াজুড়ে এ ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আমাদের আরো বিপর্যয়ের খবর শুনতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা