২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানির সংস্থান করলো তুর্কি সংস্থা

পানির সংস্থানের জন্য বসানো হয়েছে ৪৮টি কূপ। - ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

মিয়ানমারে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানির সংস্থান করেছে ক্যানসুয়ো চ্যারিটি অ্যান্ড সলিডারিটি নামে তুরস্কের একটি দাতব্য সংস্থা। সোমবার সংস্থাটি এ কথা জানায়।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমারের সিতওয়া সিটির গ্রামগুলোতে নিরাপদ পানির সংস্থানের জন্য সেখানে ৪৮টি কূপ স্থাপন করেছেন তারা।

সংস্থাটি ১৫ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রীও বিতরণ করেছে। গোশত দেয়া হয়েছে তিন হাজার পরিবারকে।

বায়রাম নুমান কোকসাল নামে সংস্থাটির একজন সমন্বয়ক জানান, অঞ্চলটিতে মারাত্মক পানি সঙ্কট ছিল।

তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করছিলেন। এতে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, সংস্থাটি স্থানীয় লোকজনের মাঝে কিছু গৃহপালিত পশু বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই সাথে মাদরাসা ও মসজিদও নির্মাণ করা হবে।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বরের পর থেকে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান ও উগ্রবাদী বৌদ্ধদের সহিংস আক্রমণের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া এসব উদ্বাস্তুর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এরা সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্য।

অনটারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্সি নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে ২৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘের বর্ণনায় বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে ২০১২ সালে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর থেকে এ সম্প্রদায়ের লোকজন মারাত্মক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এবং এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন শত শত রোহিঙ্গা।

জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গণধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞ, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ থেকে বাদ যায়নি শিশু ও তরুণরাও।

জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারী দলের সদস্যরা এক প্রতিবেদনে এ জাতীয় অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement