সম্মানী
- জেলী আক্তার
- ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
রাত তিনটার দিকে বান্ধবী ফোন করে বলছে, হ্যালো জেলী।
হ্যাঁ, মধ্যরাতে নাম বলে ডাকতে হবে না। ঝটপট বল, কী হইছে?
আচ্ছা তুই নিয়মিত কি পেপার পড়িস?
প্রশ্ন শুনে গায়ে যেন চার শ’ ডিগ্রি জ্বর উঠল। অবশ্য যা শীত পড়া শুরু হয়েছে ঠাণ্ডাটা কমল। তবে মধ্য রাতে পেপার নিয়ে আলোচনা ভীষণ রাগ উঠল কিন্তু তবুও পত্রিকাগুলোর প্রতি এক্সটা একটা ভালোবাসা কাজ করে তাই নরম সুরে বললাম, কেন রে, সারা দিন ছিল তখন ফাজলামি করার সময় পাইলি না, এখন ফাজলামি করছিস!
কাল সকালে ফাজলামি করিস। এখন রাখছি।
এখন তো ফোনে কথা বলতে ভালো লাগবে না। বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছিস তো। ভালোই অভিনন্দন রইল।
এসব শুনে যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম কথার আগা গোড়া কিছুই বুঝতে পারছি না। নরম সুরে আবারো বললাম, আচ্ছা বলতো কী হইছে?
এত কিপ্টামি কবে থেকে?
ইস রে! বলবি তো কী ঘটনা। আর কিপ্টাকে কিপ্টা বলতে নেই।
তাই নাকি? তাহলে কী বলবো, শুনি?
বলবি মিতব্যয়ী। এটা দুলাভাই বলেছে।
বান্ধবী এক গাল হাসি দিয়ে বলল, তাই?
হ্যাঁ।
শোন, রম্য লেখার জন্য তোকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। এটা জানিস?
তাই নাকি!
হ্যাঁ।
খুশি যেন ধরছে না মনে। হাসব না কাঁদব, গাইব না নাচবÑ বুঝে উঠতে পারছি না।
ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই গালে প্রচণ্ড একটা ব্যথা অনুভব করলাম। চোখ মেলে বুঝতে পারলাম ব্যথাটা একটা চড় খেয়ে অনুভূত হয়েছে। কারণ গালে দুইটা মশা আক্রমণ করেছিল আর মা সেটার হাত থেকে আমাকে বাঁচাতে চড় পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
বুঝলাম, এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম। ইস, স্বপ্নটা যতি সত্যি হতো! হ