২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মফিজ ভাইয়ের প্যাঁচ

-

অনেক দিন পরে রেললাইনে ঘুরতে আইছি।
আজ আমি একা একাই আইছি। কারণ মোর বন্ধু রহিম ওর বান্ধবীরে লইয়া টাংকি মারতে গেছে!
সে যাকগা, আই আমার মতো কইরা ফোন গুতাইতে গুতাইতে রেললাইনে হাঁটতাছি।
কিছু দূর আসার পরে সামনে তাকাই দেখি, রেললাইনের পাশের বাজারে, এক জায়গায় অনেক লোকের ভিড়। হঠাৎ করে এত লোকের ভিড় দেখে আই তাড়াতাড়ি ওই দিকে হাঁটা ধরলাম। অনেক লোকরে ঠেলাঠেলি কইরা ভেতরে ঢুকে দেখার চেষ্টা করলাম ঘটনা কী! তয় ভিতরে ঢুকে যা দেখলাম, এইডা দেখার জন্য আই একটুও প্রস্তুত ছিলাম না।
আই তাকাই দেখি মোগর এলাকার মফিজ ভাইয়ের গলায় জুতার মালা পরাই দিছে কে যেন! এইডা দেখে সবার কাছে জানতে চাইলাম মফিজ ভাইয়ের এই অবস্থা কেন? আমার কথা শুনে এক তরুণী এগিয়ে এসে বলল, এই লোকটা চরম বেয়াদব! বাসায় মনে হয় মা-বোন কেউ নেই!
আমি বললাম কেন কী করছে আপনার সাথে? এবার ওই তরুণী বলল, কী করছে মানে! অনেক বাজে বাজে কথা বলে।
আমি বললাম কী বলছে, আপনারে এইডা খুইলা বলেন!
এবার তরুণী বলল, আমি রেললাইনে হাঁটতে আইছি। এই লোক আমারে দেখে বার বার বলতেছে, এই লাগবে নাকি তাজা তাজা হট-লেডিস।
কত বড় সাহস এই বেয়াদব লোকটার। আমার সামনে আমাকে দেখে বলে, লাগবে নাকি তাজা তাজা হট লেডিস। তরুণীর এই কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম মফিজ ভাই প্যাঁচ লাগাইছে কোন জায়গায়।
তিন-চার দিন ধরে মফিজ ভাই হট পেডিস টিনের বাক্সে ভরে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে বিক্রি করে বেড়ান। তয় মফিজ ভাইয়ে সেই ছোট্ট বেলা থেকে তোতলা। আজ অবধি মফিজ ভাই কোনো কথাই শুদ্ধ ভাষায় বলতে পারল না। এই তোতলা থাকার কারণে, মফিজ ভাই নয় ক্লাস বাদে এসএসসি পাস করে আর স্কুলে যায় না। স্কুলে না যাওয়ার কারণও আছে। আর তা হলো মফিজ ভাই যদি কোনো ছড়া বলতে যাইতো, তখন ক্লাসজুড়ে সবাই হা হা করে হাসত।
সে যাই হোক, এখন এই বিপদ থেকে মফিজ ভাইকে কী করে উদ্ধার করা যায়! এই চিন্তা করতাছি। হঠাৎ আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো, আমি উপস্থিত সবাইকে ডেকে বললাম, ওনারে আমি চিনি। আমার পরিচিত। আমরা এক গ্রামে থাকি। ছোট্ট থেকে উনি তোতলা। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। ওনার নাম মফিজ। আমরা সবাই আদর করে মফিজ ভাই বলে ডাকি। তোতলা থাকার কারণে হয়তো মফিজ ভাইয়ের কথা আপনারা বুঝতে পারেননি।
এবার আমার কথা শুনে ক’জন লোক বলল, আচ্ছা তাই নাকি! আপনি ওনার পরিচিত? ঠিক আছে তাই যদি হয়, তবে ওনার সামনে চলেন।
আমি মফিজ ভাইয়ের সামনে গেলাম। আমারে একনজর দেখার পরে, কেউ একজন মফিজ ভাইকে বলল আপনি কি এনারে চিনেন?
মফিজ ভাই উত্তরে বলল, নাহ। এই লোককে আমি আমার বাবার জন্মেও কোনো দিন দেখিনি।
মফিজ ভাই এই কথা বলার সাথে সাথে আশাপাশের সব লোক আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আচ্ছা মতো রামধোলাই দিলো আমারে।
এই সুযোগে মফিজ ভাই দৌড়ে পালিয়ে গেছে ওখান থেকে!
সে দিন লাত্থিগুঁতা খাইয়া শরীরজুড়ে প্রচণ্ড ব্যথা লইয়া বাড়িতে চইলা আইছি। পরের দিন সকাল বেলা মফিজ ভাইকে বললাম, কালকে আমার সাথে ওমন করলে ক্যান?
উত্তরে মফিজ ভাই একগাল হেসে আমারে বলল, তুই কী এইডা জানস না যে, নিজে বাঁচলে বাপের নাম।


আরো সংবাদ



premium cement
হেফাজত নেতাকে হত্যা মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে স্মারকলিপি অটোরিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত, পুলিশের সাথে বৈঠক সোমবার ভারতে পালানোর সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা স্ত্রীসহ আটক রাবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট, ফেরি চলাচল ব্যাহত সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেন সিইসি দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোলে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ মা‌টিরাঙ্গায় ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ইন্দুরকানীতে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ হাওলাদারের দাফন সম্পন্ন তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির বৈঠক

সকল