ফেসবুক আসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
- তারেকুর রহমান
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চালু হচ্ছে ফেসবুক আসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। ফেসবুক আসক্তি অনেকটা মাদকের আসক্তির মতো। ফেসবুকের ছোবল থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে এ প্রতিষ্ঠানটি খোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা শহরে অনেক অনেক ফেসবুক আসক্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফেসবুকে আসক্ত রোগীগুলোকে এই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা যাবে। ফেসবুক নিরাময় কেন্দ্রের কর্ণধার মোখলেস হাসতে হাসতে আমাদের জানান, ইতোমধ্যে তিনটি নিরাময় কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নারী পুরুষদের জন্য আলাদা নিরাময় কেন্দ্র। আর ভিআইপিদের জন্য আলাদা আরেকটি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তবে তিনি জানান, ভিআইপিদের জন্য নির্মাণ করা নিরাময় কেন্দ্র অন্য দু’টির তুলনায় বড়। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন ভিআইপি রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের চাপ সামলাতেই এই ব্যবস্থা। ভিআইপি কারা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই যে হঠাৎ করে ফেসবুকে সেলিব্রেটি হয়ে যাওয়া লোকগুলোই হলো ভিআইপি। ওদের লাইক কমেন্টস সংখ্যা বেশি। ‘রাখিব ফেসবুক মুক্ত, থাকিব নিরাপদ’ এই সেøাগান সামনে রেখেই তাদের কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করছে। ফেসবুক নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসাপদ্ধতি কিরকম হবে? এরকম এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখানে রোগীর রোগের ধরন দেখে চিকিৎসা দেয়া হবে। যার জন্য যেরকম উপযুক্ত চিকিৎসা লাগবে ঠিক সেরকম চিকিৎসাই দেয়া হবে। তবে আমরা চাচ্ছি রোগীদের অন্য কোনো কিছুর দিকে মনোনিবেশ করাতে। তাদের যেন ফেসবুকে না যেতে হয় সে জন্য অন্য কোনো কিছুর দিকে আগ্রহী করতে চাইব। তবে ফেসবুক আসক্তি চিকিৎসায় উত্তম মধ্যম দেয়ার সুযোগ রাখার জোর দাবি জানিয়েছে ফেসবুক ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবকরা। ফেসবুক আসক্ত রোগীরা আবার ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারের দিকে ঝুঁকে যায় কি না এরকম প্রশ্ন করলে তিনি হেসে উঠে বলেন, আসলে ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারও এক ধরনের আসক্তি। আমরা তাদের আবার আরেকটা আসক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারি না।
আসলে সব কথা তো বলা যায় না। ফেসবুক আসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চালু হলেই দেখতে পারবেন। এ কথা বলা শেষ হওয়ার আগেই মোখলেস সাহেব আমাদের কাছ থেকে দ্রুত বিদায় নিতে চাইলেন। কারণ হিসেবে বললেন তিনি, একটু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে হবে। বুঝলাম উনারও ফেসবুকে আসক্তি আছে।