বিড়ি নিউজ ডটকম
- তারেকুর রহমান
- ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০
১. বিড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি
বিড়ি বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষের কাছে খুব প্রিয় একটি জিনিস। অনেকেরই বিড়ি না খেলে সকাল শুরু হয় না। বিড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব একটি পণ্য। এজন্য বিড়িকে জিওগ্রাফিকাল ইনডিকেট বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য করার দাবি জানিয়েছে নিখিলবঙ্গ বিড়িখোর সমিতি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ দাবি তুলে ধরা হয়। তারা দাবি করে, বিড়ি একটি ঐতিহ্যবাহী পণ্য। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির সাথে বিড়ি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দেশের বিড়িখোরদের একটি গর্বের জায়গা হলো বিড়ি। তাই বিড়িকে শিগগিরই জিআই পণ্য হিসেবে গণ্য করার জোর দাবি জানানো হয়।
২. মশা মারার নতুন অস্ত্র আবিষ্কার
আপনারা হয়তো শুনেছেন মশা মারতে কামান দাগানোর কথা। কিন্তু বাস্তবে এগুলো কখনোই সম্ভব নয়। মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ জনগণ। অতিষ্ঠ উত্তরপাড়ার জামালও। জামাল বিরক্ত হয়ে একটি বিড়ি ধরালেন। বেশ আয়েশ করেই বিড়ি টানছিলেন। কিছুক্ষণ পরপর ধোঁয়া ছাড়ছেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন রুমের মশাগুলো অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছে। জামাল হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি আবারো ধোঁয়া ছাড়লেন আর সাথে সাথে বাকি মশাগুলোও মাথা ঘুরে পড়ে গেল। শুধু মাথা ঘুরে পড়ে গেল বললে ভুল হবে। কিছুক্ষণ পর মশাগুলো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এই ঘটনা দেখে জামাল ইউরেকা ইউরেকা বলে লাফাতে থাকেন। ইতোমধ্যে জামালের এই আবিষ্কার দেখার জন্য তার বাড়ির সামনে লোকজন লাইন ধরে আছে।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হিসেবে বিড়ির কদর বাড়ছে
যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন, তারা নানা চিকিৎসা করেও কোনো সমাধান না পেয়ে নগরীর বিড়িবাবা নামক এক লোকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বিড়িবাবা হাসতে হাসতে বলেন, আমার বয়স কম হয় নাই অথচ এত বছরে একবারও আমার কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাই। এর একটাই কারণ বিড়ি। আমি টয়লেটে গেলে বিড়ি নিয়েই ঢুকি। আর খুব সুন্দরভাবে কাজ সেরে বের হয়ে আসি। বিড়িবাবার বিড়ি থেরাপিতে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা হুমড়ি খেয়ে বিড়ি কিনছেন।
৪. বিড়ির দাম বৃদ্ধির কারণ উদঘাটন
হঠাৎ করে বিড়ির দাম কেন বেড়ে গেল, এ নিয়ে জনগণের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। অবশেষে বিড়ির দাম বৃদ্ধির কারণ বের হয়ে এলো। আমাদের প্রতিনিধি মোতালেব এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট বের করেন। সেখানে উঠে এসেছে বিড়ির দাম বৃদ্ধির নানা কারণ। সেগুলো হলোÑ
* একসময় বিড়ির ভরা যৌবন ছিল। শহর থেকে গ্রামের আনাচে কানাচে দোকানগুলোতে বিড়ি পাওয়া যেত। এখন বিড়ির পড়ন্ত বেলা চলছে। খুব খোঁজ করেও বিড়ি পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। বিড়িখোরদের এটি একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিড়ির নেশা উঠল অথচ বিড়ি পাওয়া গেল নাÑ এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কী হতে পারে! এ সমস্যা দূর করার জন্য বিড়িকে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারই প্রথম পদক্ষেপ বিড়ির দাম বৃদ্ধি করা। ফলে ওসব লোক আস্তে আস্তে সিগারেটের দিকে ঝুঁকবে, যা সব জায়গায় পাওয়া যায়।
* এখন আধুনিক যুগ। বিড়ি খাওয়াটা এক ধরনের আনস্মার্ট কাজ। তরুণ সমাজ বিড়ি খাবে ভাবতেই খারাপ লাগছে। তারা খাবে বাহারি ধরনের সিগারেট। সিগারেট মুখে দিয়ে গাল বাঁকা করে ধোঁয়া ছাড়বে। আহা ভাবতেই একটা হিরোইজম চোখে পড়ে। স্মার্ট একটা তরুণ প্রজন্ম উপহার দেয়ার জন্য বিড়ির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা দেখবে যে, বিড়ির দাম আর সিগারেটের দাম একই, তখন তারা বিড়ি কিনতে নিরুৎসাহী হবে।
* কয়েক প্যাকেট বিড়ি দিয়ে একটা সিগারেট পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বিড়ি বিক্রি করে যে লাভ হয়, কয়েক প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করলে তার চেয়েও বেশি লাভ হয়। ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বিড়ির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
* কেউ বিড়ি খেলে তার গন্ধে ম ম করে চারদিক। মাঝে মধ্যে মনে হয় কলিজাটা বের হয়ে আসবে। কেউ একজন বিড়ি খেতে গেলে তার গন্ধ ওই জায়গায় কয়েক দিন থেকে যায়। বিড়ির গন্ধটা কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মানুষের ব্যবহার কমিয়ে এটি ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিরোধে ব্যবহার করা হবে। বিড়ির গন্ধকে বিশেষ উপায়ে সংরক্ষণ করে স্প্রে করলে মুহূর্তেই কীটপতঙ্গ অজ্ঞান হয়ে মারা যাবে। যেখানে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায় সেখানে কীটপতঙ্গ কোনো ব্যাপারই না। এ তো প্রয়োজনীয় একটি জিনিসের দাম এত কম হবে। এটা মানা যায় না। তাই দাম বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।