২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বৈশাখী গিফট

-

রাহুল ও রুমির প্রায় চার বছর থেকে রিলেশন চলছে। একদিন রুমি রাহুলকে বলল, দ্যাখো রাহুল আমাদের রিলেশনের আজ প্রায় চার বছর হয়ে যাচ্ছে, অথচ তুমি একবারও আমাকে বৈশাখী শাড়ি গিফট করলে না।
রুমির কথা শুনে রাহুল বলল, আচ্ছা তোমাকে সত্যিই এবার বৈশাখী শাড়ি গিফট করব।
রাহুলের কথা শুনে রুমি তো ভীষণ খুশি। সে নতুন শাড়ি পাবে, এই ভেবে এত খুশি হলো যে, তার পুরনো বৈশাখী শাড়িটা এক পুরাতন কাপড়ের দোকানে বিক্রি করে দিলো।
পয়লা বৈশাখের ঠিক দুই দিন আগে রাহুল রুমির সাথে দেখা করল এবং তার জন্য আনা শাড়িটা বের করে বলল, এই যে তোমার বৈশাখী গিফট। দেখো তো পছন্দ হয়েছে কি না?
রুমি তো আনন্দে আত্মহারা। গিফটটা কী সুন্দর নামীদামি বক্স দিয়ে প্যাকিং করা। না জানি ভেতরে কত দামি শাড়ি আছে! সে চমক দৃষ্টি দিয়ে বললÑ বাহ, কত সুন্দর! কোথা থেকে এনেছ এটা?
রাহুল উৎসাহের সাথে বলল, গুলশান মার্কেট থেকে এনেছি, খুলে দেখো তো পছন্দ হয়েছে কি না?
রুমি আগ্রহ ভরে বাক্সটি খুলল আর শাড়িটা নেড়েচেড়ে দেখল। কিন্তু হায়! শাড়ি দেখে রুমির মাথায় বাজ পড়ল। সে কড়া কণ্ঠে বলল, গুলশান থেকে এনেছ তাই না?
রাহুল বলল, হুম কেন?
রুমি বলল, এই শাড়িটা আমি ১০-১২ দিন আগে পুরাতন কাপড়ের দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। দেখো আমার এই শাড়ির চিহ্ন আছে।
বলে শাড়ির একটা কোনায় তার চিহ্নটা দেখাল রুমি।
রাহুল থতমত খেয়ে গেল। সে কী বলবে ভেবে পাচ্ছিল না। রুমি আবারো বলল, শেষে পুরনো শাড়ি কিনে সুন্দর প্যাকেটে ভরে আমাকে গিফট করলে তাই না; যাতে আমি শাড়িটা খুব দামি মনে করি।
রাহুল কিছু না বলে লজ্জায় মাথা নিচু করে রইল।


আরো সংবাদ



premium cement