২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চন্দ্রবিন্দু

-

কিছু দিন আগে ঝাক্কাসদা ছোট শিশুদের একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিয়েছিলেন। একদিন সেখানে ক্লাস ফাইভের শিশুদের বাংলা পড়ানোর ভার পড়ল তার ঘাড়ে।
ঝাক্কাসদা মানেই ভিন্ন কিছু! তিনি পড়াতে গিয়ে ঠিক করলেন শিশুদের ভিন্ন কিছু পড়িয়ে চমকে দেবেন। পড়ানোর এক ফাঁকে ঝাক্কাসদা পুরো ক্লাসের উদ্দেশে বললেন, তোমরা কেউ কি চন্দ্রবিন্দু চেনো?
সবার পেছনে বসে থাকা একটি মেয়ে হাত তুলে বলল, আমি চিনি স্যার।
Ñ আচ্ছা, বলো তো আগারগাঁওয়ের কোথায় চন্দ্রবিন্দু রয়েছে?
Ñ স্যার আগারগাঁওয়ের একদম মাথা থেকে একগলি সামনেই চন্দ্রবিন্দু।
ঝাক্কাসদা নিজেই চমকে গেলেন। মেয়েটা কিন্তু ঠিকই বলেছে। সে শুধু এক বর্ণকে এক গলি বানিয়ে দিয়েছে। ঝাক্কাসদা ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন। তিনি এবার বললেন, বলো তো চন্দ্রবিন্দু ছাড়া আগারগাঁও চলবে কি না?
Ñ না স্যার, চলবে না। চন্দ্রবিন্দু আমাদের পুরো আগারগাঁওবাসীর ভরসা।
Ñ তা কেমন করে?
Ñ স্যার চন্দ্রবিন্দু ছাড়া এলাকার আর কোনো টেইলারসই ভালো জামা বানাতে পারে না। তাহলে আপনি বলুন, আমাদের আগারগাঁওবাসীর কি চন্দ্রবিন্দু ছাড়া চলবে?
ঝাক্কাসদা টাসকি খেয়ে গেলেন। কোনো উত্তর দিতে পারলেন না। চমকাতে এসে নিজেই চমকিত হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement