২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সাজিদের মাছ খাওয়া

-

সাজিদ খুব দুষ্টু একটি ছেলে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান। সে দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি বুদ্ধিতেও বেশ পাকা। তাই সবাই তাকে খুব স্নেহ করে, ভালোবাসে।
সাজিদ মাছ খেতে খুব পছন্দ করে। আর এমনভাবে সে মাছ খায় যে তাকে বিড়ালও হার মানাবে। সে যখন একেবারে ছোট, সবে এক পা, দুই পা হাঁটে তখন থেকেই তার মাছ খাওয়ার নেশা। একটা একটা কাঁটা বেছে মাছ খাওয়া সে তখন থেকেই আয়ত্ত করে ফেলেছে। সাজিদের এভাবে মাছ খাওয়ার কারণে তার আম্মু মজা করে মাঝে মাঝে তাকে বিড়াল বলেও ডাকে। তার এ মাছ খাওয়ার নেশা আজ অবধি যায়নি।
একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে সাজিদ তার আম্মুর সাথে নানুর বাড়ি বেড়াতে যায়। দিন কয়েক পরে এক দুপুরে হঠাৎ সাজিদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাজিদের আম্মু তো কান্নাই জুড়ে দিলো। সাজিদের মামা, নানা সবাই সাজিদকে খুঁজে অস্থির। সাজিদকে মুহূর্তের জন্য তার আম্মু চোখের আড়াল করেন না। অথচ এখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল, অথচ সাজিদকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই প্রায় অস্থির হয়ে গেছে। আশপাশের সব বাড়ি, পাড়া-মহল্লা সব খোঁজা হয়ে গেছে; কিন্তু সাজিদের হদিস পাওয়া গেল না।
এ দিকে সাজিদের আব্বুও ছুটে এসেছে এ ঘটনা শুনে। সাজিদের বাবা তো একেবারে হইচই শুরু করে দিলো। আমার ছেলেকে না পেলে সবার খবর আছে। সাজিদের আব্বু এমনিতেই একটু রাগী টাইপের মানুষ। অল্পতেই েেপ যায়। সাজিদের আব্বু সিদ্ধান্ত নিলো মাইকিং করবে। লোকজন ঠিক করে মাইকিং করার জন্য পাঠানো হলো। বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। ঠিক এমন সময় বাড়ির একদম এক কোণায় অবস্থিত কিচেনের লাইট জ্বলে উঠল। সবাই দৌড়ে কিচেনের কাছে গেল। ভেতর থেকে কিচেনের দরজা আটকানো। দরজায় কয়েকটি ধাক্কা দিলে ভেতর থেকে সাজিদের কণ্ঠে ভেসে আসেÑ দাঁড়াও আসছি।
সবার মুখ থেকে চিন্তিত ভাব সরে যায়। অনেক কৌতূহল নিয়ে সবাই অপো করে সাজিদ ভেতরে কী করছিল দেখার জন্য।
সাজিদ দরজা খুলল। সাজিদের আম্মু দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে জাপটে ধরল। চুমো খেলো। আর বলল, কী করছিলি বাপ?
সাজিদ কথা বলল না। এত মানুষ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে সে। তখন সবার চোখ যায় কিচেনের ভেতরে রাখা টেবিলের ওপর। টেবিলে সুন্দর করে সিরিয়ালে সাজানো রয়েছে কৈ মাছের কাঁটা। গুনে দেখা গেল মোট ১১টি মাছ খেয়ে মাছের কাঁটা আলাদা আলাদা করে রেখেছে সাজিদ। আরেকটি অর্ধেক খাওয়া মাছ সাজিদের হাতে।
সকালে সাজিদের মামা পাশের গ্রামের জেলের কাছ থেকে ১২টি কৈ মাছ কিনে এনেছিল। দুপুরে সবাই খাবে সে জন্য মাছগুলো ভেজে কিচেনে রাখা হয়েছিল। সাজিদের এমন কাণ্ড দেখে সবাই হেসে ওঠে। সাজিদ লজ্জায় মায়ের আঁচলে মুখ লুকায়। সাজিদের আম্মু সাজিদকে কানে ধরে আঁচলের নিচ থেকে বের করে বলে, এই দুষ্টু ছেলে; তোর মাছ খেতে এত মনে চেয়েছে তুই আমাকে বলতি। এভাবে পালিয়ে খেতে হবে? তোর জন্য কতগুলো মানুষ কষ্ট পেয়েছে দেখেছিস?
সাজিদ কী বলবে ভেবে পায় না। সবাই সাজিদের মুখের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে। সাজিদের মামা সাজিদকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসে কিচেন থেকে আর বলতে থাকেÑ আমার বিড়াল মামা, বিড়াল মামা।


আরো সংবাদ



premium cement
পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তা নিহত সাত কলেজের মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির সিলেটে কর্মবিরতিতে ১১ হাজার চা-শ্রমিক, ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় গ্রেফতার সোহরাওয়ার্দীর পর কবি নজরুল কলেজও বন্ধ ঘোষণা কুলাউড়া রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা : প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরো রক্তপাত হতো : আসিফ মাহমুদ দেবীগঞ্জে পরিত্যক্ত কাউন্টার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড আদালতে আ’লীগ নেতার ওপর ডিম নিক্ষেপ, কারাগারে প্রেরণ

সকল