বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে কিভাবে

খোঁজ দ্য সার্চ : বাংলাদেশে সব জায়গার লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি খুঁজে বের করার পদ্ধতি হলো খোঁজ দ্য সার্চ। এই গাড়িগুলো খুঁজে বের করার আগে দেখতে হবে গাড়িগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা। যদি মেয়াদ না থাকে কিংবা ভাঙাচোরা হয় তবে এটাই বাছাই করে ঢাকায় নিয়ে আসুন। এরপর ঢাকার রাস্তায় ছেড়ে দিন। এই গাড়িগুলোই আমাদের এই প্রিয় শহরটিকে বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন করতে ভূমিকা রাখবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি : ঢাকাবাসী বায়ুদূষণের েেত্র বেশ সচেতন। তবে আরেকটু সচেতন হলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। ঢাকায় ময়লা আবর্জনা এখানে সেখানে পড়ে থাকে এটা আমাদের জন্য বিশাল এক পাওয়া। কিন্তু যারা ভুলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে তারা যদি ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলার উদ্যোগ নেয় তবে খুব সহজেই এই শহর পৃথিবীর সেরা বায়ুদূষণ নগরীতে পরিণত হবে।
ধোঁয়া বের হওয়া গাড়ি আমদানি : ছোটবেলায় আমরা কিছু গাড়ি দেখতাম, যেগুলোর ধোঁয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যেত। কিন্তু আমাদের কি দুর্ভাগ্য এখন সেসব গাড়ি দেখা যায় না। এ ধরনের গাড়িগুলো আমদানি করে ঢাকার রাস্তায় পুনরায় নামানো হলে বায়ুদূষণে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব।
ভেজাল জ্বালানি সংগ্রহ : ঢাকায় যানবাহনগুলোতে যেসব জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেগুলো ১০০% ভেজাল হওয়া দরকার। এই ভেজাল জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঢাকার বায়ুতে আলাদা মাত্রা যোগ হবে যা ঢাকাকে বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন হতে সহায়তা করবে।
কলকারখানা স্থাপন : ঢাকায় এমনিতে কলকারখানার অভাব নেই। বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন করতে চাইলে ঢাকা এবং এর আশপাশে কলকারখানা স্থাপন করতে হবে। এই কলকারখানার ধোঁয়ায় নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠবে। পাশাপাশি বায়ুদূষণে কেউ আমাদের ছুঁতে পারবে না।
পশুর বর্জ্য সংগ্রহ : গরু-ছাগল কিংবা বিভিন্ন পশুপাখি জবাই করার পর যে উচ্ছিষ্ট অংশ থাকে, সেগুলো কোথাও না ফেলে ঢাকার অলিতে গলিতে ফেললেই হবে। অবশ্য এসব অনেক আগ থেকেই চালু আছে। এসব বর্জ্য পচে দারুণ এক পরিস্থিতি দেখা দেবে। এতেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবো।
মৃত পশু সংগ্রহ : মনে করুন গাড়িতে এক্সিডেন্ট করে কিংবা মানুষের পিটুনিতে একটা কুকুর মারা গেল। সে কুকুরটা রাস্তা থেকে সরানো হবে না। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। এতে করে মৃত কুকুর পচে দারুণ এক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে। হ