২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ফেদেরার : এক কিংবদন্তির বিদায়

ফেদেরার : এক কিংবদন্তির বিদায় - ছবি : সংগৃহীত

ছোটবেলার স্বপ্নের তারকারা, আইডলেরা যখন একে একে অবসরে যাওয়া শুরু করেছে তখন বার বার মনে হয় যে বয়স বেড়ে যাচ্ছে। আমরাও শৈশব, কৈশোর শেষ করে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আবেগ কমতে শুরু করছে, বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে। একটা সময় শৈশবের কোনো তারকাই আর থাকবে না খেলার মধ্যে। সবাই অবসরে চলে যাবে। ভাবতেই কেমন যেন লাগে।

নাইন্টিজের দিকে যাদের জন্ম তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ২০১০ সালের দিকে খেলাধুলা মোটামুটি বোঝা শুরু করেছে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট, ফুটবলটাই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে মানুষ।

ক্রিকেট আর ফুটবল এই দুটি খেলার বাইরে যদি কোনো খেলা বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দেখে সেটা হলো টেনিস। এইস, ব্রেক, ব্রেক পয়েন্ট, ফোরহ্যান্ড, ড্রপ শট, ফল্ট, ডাবল ফল্ট- টেনিসের এই কঠিন টার্মগুলো সম্পর্কেও মানুষ যখন জানত না, তখন টেনিসের দুটি মানুষের নাম ঠিকই জানতো সবাই। রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদাল। টেনিস কোর্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র তারা দুজন।

পছন্দের টেনিস খেলোয়াড় বলতেই কেউ বলত রাফায়েল নাদালের নাম, কেউ বলতো রজার ফেদেরারের নাম। ফেদেরারের মিষ্টি হাসি, নিষ্পাপ চেহারা আর নাদালের ঝাঁকড়া, লম্বা চুল দেখেই যেকোনো ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ প্রেমে পড়তে বাধ্য। টেনিস কোর্টের অবিসংবাদিত নেতা তারা, টেনিস কোর্টের বাদশাহ তারা।

ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরে আনন্দের খোরাক যোগানোর জন্য, দীর্ঘদিন টেনিস কোর্টে আমাদের মাতিয়ে রাখার জন্য সারাজীবন এই দুটি মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে সবাই। ফেদেরার তো বিদায় বলে দিলেন, হয়তো কিছুদিন পরে নাদালও বিদায় বলে দেবেন।

আমাদের ছোটবেলাটা সুন্দর করার জন্য ধন্যবাদ দি সুইস ময়েট্রো রজার ফেদেরার। আপনার অবসর পরবর্তী জীবন সুন্দর হোক।


আরো সংবাদ



premium cement