২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আবার ধনীদের শীর্ষে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস

-


অনলাইন খুচরা পণ্য বিক্রির ওয়েবসাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (৬০) আবারো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ইলন মাস্ককে হটিয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেওয়ার্স ইনডেক্সের চূড়ায় এখন বেজোস। তৃতীয় স্থানে আছেন বার্নার্ড আরনল্ট।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ ১৯৮ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টেসলার শেয়ারের দাম ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় মাস্ক প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
বেজোস এখন আর অ্যামাজনের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত নন। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য বড় আকারে বেড়েছে, যা থেকে তিনি বিশেষ লাভবান হয়েছেন। তিনি ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দিলেও এখনো এককভাবে অ্যামাজনের সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক।
এলভিএমএইচ গ্রুপের ফরাসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নার্ড আরনল্ট ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৭ বিলিয়ন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ (১৭৯ বিলিয়ন ডলার) ও বিল গেটস (১৫০ বিলিয়ন ডলার)। ভারতের মুকেশ আমবানি (১১৫ বিলিয়ন) ও গৌতম আদানি (১০৪ বিলিয়ন) আছেন যথাক্রমে ১১ ও ১২তম অবস্থানে।

একনজরে জেফ বেজোস
হাইস্কুলের শিার্থী অবস্থাতেই তার প্রথম ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। ওই সময়ই ‘ড্রিম ইনস্টিটিউট’ নামে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডের শিার্থীদের জন্য সামার ক্যাম্প আয়োজক প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। বলা হয়, জেফ বেজোস ও তার গার্লফ্রেন্ড দুজনই ড্রিম ইনস্টিটিউটে কাজ করতেন এবং তাদের প্রথম ছয় গ্রাহকের প্রত্যেককে ৬০০ ডলার করে চার্জ করেছিলেন। নিজের ব্যবসায় সময় দেয়ার পাশাপাশি ওই সময় ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করতেন বেজোস।

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন জেফ বেজোস। এরপর ১৯৯০ সালের দিকে নিউইয়র্ক সিটির ওয়াল স্ট্রিটের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছিলেন তিনি।
জেফ বেজোস বাসার গ্যারেজে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যামাজন ওয়েবসাইট চালুর পর তিন শতাধিক বন্ধুকে বেটা সংস্করণ পরীা করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। ওয়েবসাইট চালুর পর বেজোস এবং প্রথম দিকের কয়েকজন কর্মী মিলে অ্যামাজন ওয়েবসাইটের সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ শুরু করেন। বেজোসের বাসার গ্যারেজ খুবই ছোট ছিল। যে কারণে মিটিং করার জন্য প্রায়ই কর্মীদের নিয়ে খুচরা বই বিক্রেতা বার্নস অ্যান্ড নোবেলের আউটলেটে যেতেন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে ছোট কর্মীবাহিনী নিয়েই দুই বেডরুমের একটি বাসায় অ্যামাজনের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়েছিল।

অ্যামাজন প্রতিষ্ঠায় জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ২০১৯ সালে ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি টানেন জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি বেজোস। ডিভোর্সের পর অ্যামাজনের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পান ম্যাকেঞ্জি, যার আর্থিক মূল্য তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ই-কমার্স, কাউড কম্পিউটিং ও মিডিয়া কোম্পানি ছাড়াও ‘ব্লু ওরিজিন’ নামে একটি রকেট শিপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন বিলিয়নেয়ার জেফ বেজোস। ২০০০ সালে ব্লু ওরিজিন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে অবস্থিত। ২০২১ সালে সর্বশেষ জেফ বেজোস ধনীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement