২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করছে নিকন ও ক্যানন

ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করছে নিকন ও ক্যানন -

কিছু দিন আগে ক্যানন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর তৈরি করবে না ফ্ল্যাগশিপ ডিএসএলআর। একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নিকনও। ডিজিটাল সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স (ডিএসএলআর) লাইনআপের ডিভাইস তৈরি বন্ধ করতে পারে দুই শীর্ষস্থানীয় ক্যামেরা নির্মাতা নিকন ও ক্যানন। নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে পেছনে ফেলে এবার তুলনামূলক ছোট আকারের মিররলেস ক্যামেরার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঝুঁকছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।
নিকনের সর্বশেষ ডিএসএলআর ক্যামেরা ‘নিকন ডি-৬’ বাজারে এসেছিল ২০২০ সালের ফেব্র“য়ারিতে। আর নিজেদের এন্ট্রি লেভেল ডিএসএলআর ক্যামেরা ডি-৩৫০০ ও ডি-৫৬০০-এর উৎপাদন জুন মাসে বন্ধ করেছে নিকন। এখন মিররলেস ক্যামেরা তৈরিতে বেশি নজর দিচ্ছে নিকন, কারণ এগুলো তুলনামূলক ছোট আকারের ও ওজনে হালকা।
প্রযুক্তিগত শুরুর দিকের মিররলেস ক্যামেরায় ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবির মান বা লেন্স বাছাইয়ের তেমন সুবিধা ছিল না। ডিএসএলআর ক্যামেরার অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডারে দেখানো ছবি থেকেও বেশ পিছিয়ে ছিল মিররলেস ক্যামেরার ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার। তুলনামূলক নতুন মিররলেস ক্যামেরায় এসব ত্রুটি নিয়ে ব্যাপক কাজ হয়েছে। পাশাপাশি, এগুলোও আগের মতো ছোট আকারের ও হালকা ওজনের। ডিএসএলআরের চেয়েও এখন ভালো মানের ভিডিও সুবিধা আছে মিররলেস ক্যামেরায়। এটি সেই সব ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী, যারা নিজেদের ক্যামেরায় মাল্টিটাস্ক করতে চান।
ক্যামেরার বাজারে নিকনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যাননও নিজেদের ডিএসএলআর ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০২১ সালের শেষে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের সর্বশেষ পেশাদার ডিএসএলআর মডেল হবে ইওস-১ডি এক্স মার্ক ৩। প্রতিদ্বন্দ্বী নিকনের মতোই মিররলেস লাইনআপের দিকে ঝুঁকছে ক্যানন।
নিকনের এসএলআর ক্যামেরাগুলো ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারপরও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে এসএলআর ক্যামেরার বিদায় ঘণ্টার শব্দ বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। তরুণ ব্যবহারকারী, বিশেষ করে যাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি, তাদের জন্য আরো উপযোগী ক্যামেরা তৈরির দিকে মনোযোগী হচ্ছে নিকন। গত বছর নিকন প্রায় চার লাখ এসএলআর ক্যামেরা বিক্রি করেছে। মিররলেস প্রযুক্তির উত্থানের পাশাপাশি, এসএলআর ক্যামেরাগুলো বেশ অনেকদিন ধরেই স্মার্টফোনের ক্যমেরার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। যা কয়েক দশক ধরে ক্যামেরার বাজারকে সঙ্কুচিত করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement