টিকটকের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে দেশের ছোট ও মাঝারি ব্যবসার চিত্র
- প্রযুক্তি ডেস্ক
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
স¤প্রতি ঢাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় টিকটকের হ্যাশট্যাগ গ্রো উইথ টিকটক ইভেন্ট। এটি ছিল টিকটকের একটি ভিন্ন ধারার আয়োজন যেখানে একত্র হয়েছিলেন দেশের উদ্যোক্তারা। বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দুনিয়ায় কীভাবে টিকটক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য দারুণ সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে সেটি নিয়ে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পার্টনারশিপ ম্যানেজার ফাইজা জাফর জানিয়েছেন বিস্তারিত।
দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে টিকটকের ‘গ্রো উইথ টিকটক’ ইভেন্টটিতে উদ্যোক্তারা কীভাবে তাদের টার্গেট অডিয়েন্স বা সুনির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে টিকটকের মাধ্যমে পেঁৗছাতে পারবে- সেটি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। টিকটকের ফিচারগুলো কীভাবে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় প্রসার করা যায় এবং তরুণদের সাথে যুক্ত হওয়া যায় সেই কৌশলগুলো হাতে-কলমে শেখানো হয় এই কর্মশালায়।
বর্তমানে উদীয়মান ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য টিকটক একটি সহজ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। কারণ টিকটকের মাধ্যমে বৈশ্বিক এবং স্থানীয়, উভয় পর্যায়ে বিশাল পরিসরে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা যায়। এই প্ল্যাটফর্মে আরো রয়েছে চ্যালেঞ্জ, ট্রেন্ড এবং কোলাবরেশনের কিছু বিশেষ ফিচার। এছাড়া টিকটকের রিয়েল-টাইম অ্যানালিটিক্স এসএমবি উদ্যোক্তাদের স্ট্রাটেজিগুলোকে উন্নত করতেও সহায়তা করে।
ছোট ব্যবসায়গুলোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ভালো কনটেন্ট তৈরিতে অনেকটা দক্ষতার অভাব দেখা যায়। আর এই ওয়ার্কশপে এমন চ্যালেঞ্জগুলোই উঠে আসে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অংশ হিসেবে টিকটক প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার বিশ্বজুড়ে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কীভাবে টিকটকে সফলভাবে ক্যাম্পেইন চালানো যায় এবং তরুণ গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা যায়- এমন বিষয়গুলো বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট সেশনে ব্যাখ্যা করেছেন।
টিকটকের কিছু ফিচার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য এগুলো বিশেষভাবে সহায়ক। যেমন- ‘ফর ইউ’ ফিড এর মধ্যে অন্যতম। সাধারণত নতুন কনটেন্ট খেঁাজার জন্যই ইউজাররা এই ফিডে আসেন। বিজ্ঞাপনের জন্য রয়েছে টিকটকের ‘ইন-ফিড এড’। এতে ব্র্যান্ডগুলো কোন পোল বা লিঙ্ক যুক্ত করার সুবিধা পায়। আরেক ধরনের বিজ্ঞাপন হলো ‘স্পার্ক এড’। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্টগুলো ইউজারদের কাছে তুলে ধরা যায়।
বর্তমানে টিকটকের একটি নতুন ফিচার হলো ‘টিকটক সিম্ফনি’। মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে এটি পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, অডিয়েন্স টার্গেট, পারফরম্যান্স অপ্টিমাইজেশন, বিডিং এবং সৃজনশীল কনটেন্টের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে টিকটকের ‘স্মার্ট প্লাস’ ফিচার। তথ্যভিত্তিক দিকনির্দেশনা জন্য ব্যবসাগুলো ‘টিকটক ইনসাইটস’ এবং ‘ক্রিয়েটিভ সেন্টার’ এর মতো রিসোর্স থেকেও সাহায্য নিতে পারে।
সারা বিশ্ব জুড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রসারের জন্য টিকটককে কাজে লাগাচ্ছে উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশের টিপু সুলতান তেমনি একটি উদাহরণ। তিনি একজন স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা এবং সে তার ফুচকা তৈরির প্রক্রিয়া টিকটকে কনটেন্ট বানানোর মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন।
ভবিষ্যতে উদ্যোক্তাদের আরো সম্পৃক্ত করতে টিকটকের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফাইজা বলেন, সা¤প্রতিক ওয়ার্কশপটি ব্যবসাগুলোর জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটি অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি নেটওয়ার্কিং এবং কোলাবরেশনের জন্য একটি দারুণ সুযোগ ছিল। এছাড়া, ‘টিকটক একাডেমি’ এর মাধ্যমে ‘বিজনেস অ্যাকাউন্ট’ তৈরি করার সুযোগও আছে। ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য আরো নতুন উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।