সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম এফ অগবার্নের সাংস্কৃতিক ল্যাগ তত্ত্ব ও বাংলাদেশের শিক্ষা
- মো: তোজাম্মেল হক
- ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম ফিল্ডিং অগবার্ন ১৯২২ সালে দেয়া সাংস্কৃতিক ল্যাগ তত্বের (ঞযবড়ৎু ড়ভ ঈঁষঃঁৎধষ খধম) জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি আবিষ্কার করেন, কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রায়ই এই পরিবর্তনগুলোর সাথে সামাজিক অভিযোজনকে ছাড়িয়ে যায়। অগবার্নের মতে, যখন একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করা হয়, তখন এটি সমাজের বস্তুগত সংস্কৃতি (যন্ত্রপাতি, মেশিন, অবকাঠামো) পরিবর্তন করে, তবে সংস্কৃতির অ-বস্তুগত দিকগুলো (মূল্যবোধ, প্রেম, ভালোবাসা, নিয়ম, আইন) সামঞ্জস্য করতে বেশি সময় নেয়। সমাজের বস্তুগত সংস্কৃতি এবং অবস্তুগত সংস্কৃতি যদি পাশাপাশি সমভাবে চলতে না পারে তবে সমাজের মধ্যে এক ধরনের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হতে পারে যা সামাজিক সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
যদি একটু উদাহরণ দিয়ে বললে- মোবাইল, কম্পিউটারের বিস্তৃতির ফলে পুরো বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। খোলাবাজার নীতির মাধমে বিশ্বের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে ডিজিট। যে গতিতে মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে, সেই গতিতে কি মানুষের মন, চিন্তা, বিবেক, প্রেম, ভালোবাসা, মায়া, মহব্বত, শিক্ষাপদ্ধতি চলতে পেরেছে? যদি এক কথায় এর উত্তর দিই তবে উত্তর হলো- না। যেখানে এই মানুষই যান্ত্রিক বস্তুগুলো আবিষ্কার করলেও বাংলাদেশের মতো দেশের মানুষ তা থেকে যথোপযুক্ত সুবিধা তুলে নিতে পারছে না। আসুন, একটু বোঝার চেষ্টা করি।
১৯৮১ সালের এনালগ (ওয়ান-জি) থেকে ১৯৯২ সালে ডিজিটাল (টু-জি) তে উন্নীত হওয়ার প্রথম পদক্ষেপের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে নতুন মোবাইল প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে আসে ত্রি-জি এবং ২০১১-২০১২ সালে মোবাইলে আলট্রা-ব্রডব্যান্ড (গিগাবিটগতি) নিয়ে হাজির হয় ফোর-জি। সেলুলার ফোন সংস্থাগুলো ২০১৯ সালে ফাইভ-জির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগে আরো অধিক গতির সঞ্চার করেছে। যা ফোর-জি প্রযুক্তির উত্তরসূরি এবং বর্তমানে বেশির ভাগ মোবাইলফোনে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সংযোগ স্থাপনে সরবরাহ করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদনে সিক্স-জির উন্নয়ন রোড ম্যাপের রূপরেখা প্রকাশ করে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৮ সাল নাগাদ সিস্টেমগুলো স্থাপন করা হবে এবং সিক্স-জির সুফলতা মানুষ ভোগ করতে পারবে।
মোবাইল ফোন এনালগ থেকে ডিজিটাল হতে সময় নিয়েছে মাত্র ১১ বছর। এক জেনারেশন থেকে আরেক জেনারেশনে যেতে গড় সময় নিয়েছে প্রায় ৯.২৫ বছর। কিন্তু টু-জি থেকে ত্রি- জিতে যেতে সময় নিয়েছে মাত্র ৯ বছর। অন্যদিকে ফোর-জি থেকে ফাইভ-জিতে যেতে সময় নিয়েছে মাত্র সাত-আট বছর। যে গতিতে মোবাইল নেটওয়ার্কর এক জেনারেশন থেকে পরবর্তী জেনারেশনে পদার্পণ করেছে, সেই গতিতে মানুষ এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। যার ফলে মোবাইল ফোনের এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনে পদার্পণের যে ধারাবাহিকতা সেখানে পার্থক্য দেখা যায়।
উইন্ডোজের ব্যাপক পরিবর্তনের পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেমজুড়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভবের মাধ্যমে কাজগুলোকে সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। কম্পিউটারের উইন্ডোজ ১.০ সূচনা হয় ১৯৮৫ সালে। যা খুবই সাধারণ মানের হলেও সেটিই প্রযুক্তির যুগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। যা পরবর্তী বছরগুলোতে তা প্রমাণিত হয়। সূচনা হতে দেরি হলেও সময়ে সময়ে এটি আপডেট হতেও বেশি সময় নেয়নি। সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ১৯৮৫-২০২৩ এই সময়ে কম্পিউটারের উইন্ডোজ ১.০ থেকে উইন্ডোজ ১১-তে যেতে সময় নিয়েছে প্রায় ৩৮ বছর এবং গড় ৩.৮ বছর।
যে গতিতে কম্পিউটারের উইন্ডোজের সম্মুখমুখী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, সেই গতিতে কিন্তু মানুষের চিন্তাধারার সম্মুখমুখী পরিবর্তন সাধিত হয়নি। যার ফলে কম্পিউটার নামক প্রযুক্তি এবং অবস্তুগত জিনিসগুলোর মধ্যে বিস্তর ফারাক লক্ষ করা যায়।
প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত
অপযরবারহম সড়নরষব-বহধনষবফ ফরমরঃধষ রহপষঁংরড়হ রহ ইধহমষধফবংয শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। তবে এখনো ৬৭ শতাংশের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের ব্যবধান ছিল, কারণ জনসংখ্যার মাত্র ২৮ শতাংশের ফোর-জি সংযোগ ছিল। দ্য গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েশনের মোবাইল ইকোনমি এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিবেদন-২০২১ অনুসারে, ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর হার ২০২০ সালের ৪১ থেকে ৬২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করছে। যেখানে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০২০ সালে যথাক্রমে ৮৬, ৮৩ এবং ৮৪ শতাংশ যা ২০২৫ সাল নাগাদ যথাক্রমে ৯২, ৯২ এবং ৯০ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোট মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে যথাক্রমে ৮৫ শতাংশ ও ৭৪ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী থাকবে।
২০২১ সালের জিএসএমএ সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল কভারেজ সম্প্রসারণ সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত নয়। গণশুমারি ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ৫৫.৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার মাত্র ৩০.৬৮ শতাংশ, যা ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি এবং রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৮.৯ শতাংশ। বিবিএস ৩০ হাজার ৮১৬টি বাড়ি ও এক লাখ ১২ হাজার ৬০০ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে এ ফলাফল তৈরি করেছে। গত ১০ বছরে আইসিটির ব্যবহার বেড়েছে ৮.২ শতাংশ আর কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে মাত্র ১.৮ শতাংশ। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পুরুষের তুলনায় নারীরা দিনে অন্তত একবার মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এছাড়া মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের মানুষ এগিয়ে রয়েছে। তবে মোবাইল ব্যবহারে শহর ও গ্রামের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেশি।
সমীক্ষায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ৬৪ শতাংশ গ্রামীণ এবং ৫৮ শতাংশ শহুরে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। ৪৮.২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যয়বহুল এবং ৩৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সরঞ্জামগুলোকে ব্যয়বহুল বলে মনে করে।
রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলে ১৯.৭ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৩২ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। রংপুরে ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মোবাইলফোন ব্যবহার করে। ঢাকা বিভাগ কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ও স্মার্টফোন ব্যবহারে এগিয়ে এবং বরিশাল বিভাগ মাত্র ৪ শতাংশ নিয়ে পিছিয়ে আছে।
সাংস্কৃতিক ল্যাগ তত্ত্ব ও শিক্ষা বিকাশে শিক্ষকদের অবস্থান
যে গতিতে মুঠোফোন, ল্যাপটপ/কম্পিউটার ও ইন্টানেটের ব্যাপকতা বেড়েছে কিন্তু সেই গতিতে বাংলাদেশে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ প্রযুক্তিকে শিক্ষার বিস্তার কিংবা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশের কাজে ব্যবহার করতে পারছে না। আবার যারা ব্যবহার করছে তারা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই মোবাইল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। তাদের মধ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করার হার খুবই কম। ধীরে ধীরে শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে এবং বাড়বে। এটিও সত্য যে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতাও বাড়তে থাকবে। তবে এমন একসময় আসবে যখন প্রযক্তির গতি এবং মানসিক গতি পাশাপাশি চলতে না পারলেও আকাশ-পাতাল ফারাক থাকবে না। যেখানে মানুষ একদিকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করার মাধ্যমে উন্নত থেকে আরো বেশি উন্নততর হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে শিক্ষার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও আইসিটি বিভাগের জরিপ অনুযায়ী, ব্যক্তি পর্যায়ে ৭.৪ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর মধ্যে ৬৩.১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহী নন। তাদের মধ্যে ৬১.৮ শতাংশের নিজস্ব মোবাইল আছে এবং মাত্র ১.৪ শতাংশ প্রোগ্রামিং বা কোডিং জানেন। অন্যদিকে ৮৯.৯ শতাংশ মানুষ মোবাইলফোন ব্যবহার করে, যার মধ্যে ৩০.৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।
ডিজিটাল সরঞ্জামগুলোর উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার পরিপ্রেক্ষিতে সমসাময়িক শিক্ষায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য কম্পিউটার জ্ঞান বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। কম্পিউটার সাক্ষরতা এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিজিটাল সাক্ষরতা-অপারেটিং সিস্টেম নেভিগেট করা, ফাইল পরিচালনা এবং সাধারণ সফটওয়্যার ব্যবহারের মতো মৌলিক ডিজিটাল দক্ষতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি নিশ্চিত করা। টাইপিং দক্ষতা-অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার সময় বা রিপোর্ট লেখার সময় ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে টাইপিং দক্ষতা বৃদ্ধি। তরুণ শিক্ষার্থীদের কোডিং সম্পর্ক পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ঝপৎধঃপয, ঞুহশবৎ ইষড়পশষু মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে অগ্রগামী শিক্ষার্থীদের চুঃযড়হ, ঔধাধঝপৎরঢ়ঃ. ঔধাধ-এর মতো বিষয়গুলোর উপর দক্ষ করে তুলতে হবে।
অ্যালগরিদম, সমস্যা সমাধান এবং যৌক্তিক চিন্তাভাবনা শেখার জন্য উৎসাহিত করা। শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দক্ষতা উন্নত করতে ঐধপশবৎজধহশ ধহফ খববঃঈড়ফব-এর মতো বিষয়গুলো অনুশীলন করতে পারে।
ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে? সার্ভারের ভূমিকা কি? আইপি ঠিকানাগুলোর মতো মৌলিক নেটওয়ার্কিং ধারণা শেখা। অনলাইন নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা এবং ফিশিং বা ম্যালওয়্যার হুমকি শনাক্তকরণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা।
মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স এবং নৈতিকতা বুঝতে সহায়তা করার জন্য ঞবধপযধনষব গধপযরহব এবং অও৪খখ-এর মতো শিক্ষানবিস-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের এআইয়ের ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। ডেটা গোপনীয়তা আইনগুলো বোঝা এবং ভুয়া সংবাদ এবং ভুল তথ্যের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনাসহ প্রযুক্তির নৈতিকতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা।
উপরোক্ত কৌশলগুলো অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে খাপ খাইয়ে অভিযোজন ক্ষমতা বাড়িয়ে ডিজিটাল শিক্ষার সাথে একাত্ম হয়ে আধুনিক এবং সৃজনশীল শিক্ষার ব্যাপকতার বিকশিত করতে প্রস্তুত হবে, বাড়াতে হবে মানসিক বয়স। প্রযুক্তির গতি আর মানসিক গতির বাস্তব রূপ যত পাশাপাশি চলবে এই দুইয়ের মধ্যেকার ফারাক যত কমানো সম্ভব হবে ততই বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে মঙ্গল বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস।
লেখক : গবেষক ও সমাজ উন্নয়নকর্মী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা