২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া : পর্বসংখ্যা-১৮, বিজ্ঞান

তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন
-

সুপ্রিয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন’ থেকে একটি নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
রানা এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে কিছু পরিমাণ তুঁতের কেলাস ফেলে দিলো। কিছুক্ষণ পর সে লক্ষ করল গ্লাসের পানির রঙ ঘন নীলবর্ণ ধারণ করেছে।
ক. দ্রবণ কাকে বলে? ১
খ. উদ্ভিদের পরিবহন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. গ্লাসের পানির রঙ পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. গ্লাসের পানিতে সংঘটিত প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব সম্পর্কে তোমার যুক্তিপূর্ণ মতামত দাও। ৪
উত্তর : ক. দ্রাব ও দ্রাবকের মিশ্রণের ফলে যা উৎপন্ন হয় তাকে দ্রবণ বলে।
খ. উদ্ভিদের পরিবহন বলতে উদ্ভিদের খনিজ লবণ ও পানির শোষণ এবং পাতায় তৈরি খাদ্য সারা দেহে প্রবাহকে বোঝায়। উদ্ভিদের পরিবহন বলতে প্রধানত ঊর্ধ্বমুখী পরিবহন ও নিম্নমুখী পরিবহনকে বোঝায়। জাইলেমের মাধ্যমে উদ্ভিদের দেহে রসের ঊর্ধ্বমুখী পরিবহন হয়। আবার ফ্লোয়েমের মাধ্যমে পাতায় তৈরি খাদ্যরসের নিম্নমুখী পরিবহন হয়।
গ. গ্লাসের পানির রঙ ব্যাপন প্রক্রিয়ার কারণে পরিবর্তিত হয়েছে। তুঁতের কেলাসের অণুগুলো অধিক ঘনত্বসম্পন্ন হওয়ায় এগুলো কম ঘনত্বসম্পন্ন পানির অণুতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গ্লাসের পানির রঙ নীলবর্ণ ধারণ করে। ব্যাপন প্রক্রিয়ায় সাধারণত অণুগুলো বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তুঁতে কঠিন পদার্থ হওয়ায় এর ঘনত্ব তরল পদার্থ পানির চেয়ে বেশি। পানিতে তুঁতের কেলাস ছেড়ে দিলে তুঁতের অণু-পরমাণুগুলোর গতিশক্তির প্রভাবে এক প্রকার চাপ সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে তুঁতের নীল রঙ পানির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে এক সময় সমস্ত দ্রবণের ঘনত্ব সমান হয়ে যায় এবং ব্যাপন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শরবত তৈরির প্রক্রিয়াটি হলো ব্যাপন। উদ্ভিদ জীবনে ব্যাপন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো-
১। জীবের সব রকম শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে। যেমন- উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের সময় বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। এই অত্যাবশ্যক কাজ ব্যাপন দ্বারা সম্ভব হয়।
২। জীবকোষে শ্বসনের সময় গ্লুকোজ জারণের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়। ব্যাপন ক্রিয়ার দ্বারা কোষে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়ে যায়।
৩। উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়।
৪। প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের আদান-প্রদান ও রক্ত থেকে খাদ্য, অক্সিজেন প্রভৃতির লসিকায় বহন ও লসিকা থেকে কোষে পরিবহন করা ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ডাবরের পরিবেশনায় বঙ্গ নিয়ে এলো গেম শো ফ্যামিলি ফিউড দারুল উলূম দেওবন্দের শাইখুল হাদিস আল্লামা কমরউদ্দিনের ইন্তেকাল নতুন মামলায় সালমান-ইনু-আনিসুলসহ গ্রেফতার ৮ নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে ২ পারের রোহিঙ্গাদের জাবালিয়ায় ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তাকে গুলি হামাসের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বড় হুমকি রাশিয়া : মেলোনি মুক্তিযোদ্ধার মানহানির ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের নিন্দা গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও তার স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে মামলা

সকল