পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য দরকার সুন্দর হাতের লেখা
- কাজী মোস্তাক হোসেন, পরিচালক, থ্রি ফিঙ্গারস হ্যান্ডরাইটিং ডেভেলপমেন্ট একাডেমি, নরসিংদী শাখা
- ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া একজন পরীক্ষার্থীর সুন্দর ও দ্রুত লেখার ওপর নির্ভর করে। অনেক শিক্ষার্থীর লেখা খারাপ থাকার কারণে ভালো ছাত্র হওয়ার পরও পরীক্ষায় সে ভালো নম্বর বা আশানুরূপ নম্বর পায় না। পরীক্ষায় হাতের লেখা সুন্দর করে কিভাবে উত্তর উপস্থাপন করা যায় তার কয়েকটি টিপস তোমাদের জন্য দেয়া হলো-
১. পরীক্ষায় যে কলমটি দিয়ে লিখবে সেটি অবশ্যই বলপেন হতে হবে। অনেকে জেল পেন, ফাউন্টেন পেন ব্যবহার করে থাকে যার ফলে খাতায় বিপরীত পৃষ্ঠায় কলমের কালি চলে যায় এবং এসব কলমের কালি বেশি তরল থাকার কারণে লেখা নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ২. লেখা যেন বেশি বড় বা ছোট না হয় এ জন্য প্রতি পৃষ্ঠায় লেখার সাইজ অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৮ লাইন লিখতে পারো। ৩. উত্তর লেখার সময় শব্দ থেকে শব্দের মাঝে ২ থেকে ৩ বর্ণ সমপরিমাণ ফাঁকা করে লিখবে। যাদের হাতের লেখা খুব ভালো, তারা এক লাইন থেকে অন্য লাইনের মাঝে অর্ধ ইঞ্চি ফাঁকা রাখবে, প্যারা থেকে প্যারার মাঝে অর্ধ ইঞ্চি ফাঁকা রাখবে। বামে ও উপরে সোয়া এক ইঞ্চি মার্জিন রাখবে। ডানে কোনো মার্জিন থাকবে না, তবে অর্ধ ইঞ্চি ফাঁকা এবং নিচে এক ইঞ্চির মতো ফাঁকা জায়গা রাখবে। ৪. তোমার হাতের আঙ্গুল বড় হলে একটু মোটা কলম আর আঙ্গুল যদি ছোট হয়, তা হলে একটু চিকন কলম ব্যবহার করবে। পরীক্ষার সময় তোমার সাথে সর্বনিম্ন ৪টি কলম রাখা প্রয়োজন। কেননা কোনো কারণে কলমের কালি আসতে সমস্যা হয়, তা হলে সাথে সাথে কলম পরিবর্তন করে নতুন কলম দিয়ে লিখবে। মনে রাখবে যে প্রশ্নটা তোমার ভালো মুখস্থ আছে সেটির উত্তর আগে লিখবে। ৫. উত্তরপত্রে লেখার সময় যদি কোনো ভুল হয়, তা হিজিবিজি করে না কেটে একটানে কেটে দাও। ৬. লেখার পরে যদি কোনো শব্দ বা বাক্য ভুল থাকে সেটি একটানে কেটে দিয়ে ওই শব্দ বা বাক্যটি উপরে আবার সঠিক করে লিখে দেবে। ৭. অতি দ্রুত বা অতি ধীরে লেখা মোটেও ঠিক নয়। অতি দ্রুত লিখলে লেখার মান ঠিক থাকে না আবার অতি ধীরে লিখলে সব প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখতে পারবে না। তাই, লেখার গতি সমান রেখে, তোমার হাতের লেখার গতি মিনিটে ২০ শব্দ লেখার চেষ্টা করবে। ৮. অনেকে বড় বড় করে লিখে উত্তরপত্রের পাতা ভরাট করতে চাও তা একেবারেই ঠিক নয়। ১০. অনেকের হাত বেশি ঘামে যার ফলে কলম পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে তোমার হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত হবে না। এমনকি তোমার ভেজা হাতের কারণে খাতাও নষ্ট হতে পরে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা একটি শুকনো রুমাল রাখবে এবং রাবারযুক্ত কলম ব্যবহার করবে। ১১. লেখার সময় বর্ণের অর্ধমাত্রা ও পূর্ণমাত্রার ব্যবহার ঠিক হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখবে। পরীক্ষার উত্তরপত্রে সুন্দর লেখার মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর যদি ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারো, তাহলে উত্তর মোটামুটি মানের হলেও সুন্দর হাতের লেখার জন্য তা পরীক্ষকের নজর কাড়বে। শিক্ষার্থী বেশি নম্বর পাবে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার ওপরও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।