২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দিরাইয়ে ২ পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ ৩০ আহত অর্ধশতাধিক

দিরাইয়ে ২ পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ ৩০ আহত অর্ধশতাধিক - ছবি : নয়া দিগন্ত

মাদরাসা তহবিলের টাকা নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রায়বাঙ্গালী গ্রামে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ ৩০ জন গুলিবিদ্ধ ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা রায়বাঙ্গালী শাহজালালা (র.) দাখিল মাদরাসার সদ্য সাবেক সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালিকের পক্ষ ও সাবেক ইউপি সদস্য মনু মিয়ার পক্ষের লোকদের মাঝে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত খসরু মিয়া (৩৫), আব্দুল আউয়াল (৪০), শামীম (৩০), রনোজ মিয়া (৩৮), ফারুক (৬০), আলমগীর (২৫), মুজিবুর (৬০), ফারুক (৪৫), মাহিনুর (২১), ফারদিন (১৫), আদিল (২৫), মোবারক (১৪), মুকিত (৫০), আলাল (৫৫), কবীর (৩৬), সালমান (১৩), আনোয়ার (৪৪), নুশেদ (১৭), শাহাবুদ্দীন (১৮), শাহআলম (২৪), মিনাল হোসেন (৩০), কাজল (৬০), রাফিয়া বেগম (৪২), রাবিয়া বেগমকে (৪৫) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সংঘর্ষে আব্দুল মালিক পক্ষের লোকে প্রতিপক্ষের ওপর অবৈধ অস্ত্রের গুলি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। গুলিবিদ্ধ আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়বাঙ্গালী শাহজালালা (র.) দাখিল মাদরাসার নামে হাওরের একটি জলমহালে নয় লাখ টাকা জমা ছিল। সদ্য সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালিকের কাছে। সম্প্রতি সরকারি আদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি বাতিল হলে সাবেক মেম্বার মনু মিয়ার নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন সমূদয় টাকা মাদরাসা ব্যাংক হিসাবে জমা করতে অনুরোধ করেন। আব্দুল মালিক এতে রাজী না হয়ে টাকা তার কাছে রাখতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শনিবার দুপুরে এ নিয়ে মাদরাসার দুতলায় এলাকার গন্যমান্য বক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। জমাকৃত মাদরাসা তহবিলের সর্বমোট টাকা জমা দেয়া-সংক্রান্ত আলোচনার একপর্যায়ে দুই পক্ষই বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় সালিশ বৈঠক পণ্ড হলে দুক্ষের লোকজন প্রথমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সালিসি ব্যক্তি জানান, দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল মালিকের লোকজন প্রথমে পিছু হটে। এরপর তারা কয়েকটি অবৈধ বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। গুলিতে মনু মিয়ার পক্ষের ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন।

সংঘর্ষের বিষয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ি করছেন। দিরাই উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতরা অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। গ্রামের পরিবেশ এখন শান্ত আছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement