ওসমানীনগরে নিখোঁজের ৩ দিন পর গলিত লাশ উদ্ধার, আটক ৪
- ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতা
- ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৪০
সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজের তিন দিন পর আব্দুল জলিল (৪৮) নামের এক ব্যক্তির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের দিলদার হোসেনের বাড়ির একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
সে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের জাহির উল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল জলিলের ছেলে লায়েছ মিয়া (১৮) হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
আব্দুল জলিলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল তার ছেলের বিয়ের জন্য স্বর্ণ ক্রয় করতে তাজপুর বাজারে আসেন। এ সময় তাজপুর বাজারের তাসনিম ভেরাইটিজ স্টোরের কর্মচারী চক ভাড়েরা গ্রামের কামরান আহমদ (২৫) ও কাদিপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ছালেক মিয়া (৩৫) তাদের কাছে কম মূল্যে স্বর্ণ ক্রয় করার প্রস্তাব দেন। এতে নিহত আব্দুল জলিল কামরান ও ছালেকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করার আগ্রহ প্রকাশ করে অগ্রিম দেড় লাখ টাকা প্রদান করেন। ২৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে আরো দেড় লাখ টাকা দিয়ে চার ভরি স্বর্ণ নিজের হেফাজতে নিতে বাড়ি থেকে তাজপুর বাজারে আসার পর তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের তিন দিন পর কাদিপুর গ্রামের তবারক আলী তছিমের ছেলে ছালেক মিয়ার প্রতিবেশী দিলদার হোসেনের বাড়ির একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা নিহত আব্দুল জলিলের কাছে স্বর্ণ বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের জন্য ছালেক মিয়ার ঘরেই সংঘবদ্ধভাবে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। এ ঘটনায় ছালেক মিয়া ও তার স্ত্রী তামান্না বেগম, দোকান কর্মচারী কামরান আহমদ ও সানী নামের মোট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
ওসমানীনগর থানা ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা