শাবিপ্রবিতে ছাত্র হত্যা : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মেয়রসহ ৭৬ জনের নামে মামলা
- সিলেট থেকে প্রতিনিধি
- ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০০
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রুদ্র সেন নিহতের দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৭৬ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন এসএমপির সাবেক উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: সাদেক দস্তগীর কাউসার, জালালাবাদ থানার ওসি মিজানুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, শাবিপ্রবির সাবেক ভিসি ফরিদ উদ্দিন, সাবেক প্রো-ভিসি কবির হোসেন, সাবেক প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী, কলেজ ইন্সপেক্টর তাজিম উদ্দিন, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিরার আজাদুর রহমান আজাদ, সহ-সভাপতি কাউন্সিলার জগদীশ চন্দ্র দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, পুলিশের এসআই রেজওয়ান আহমদ, কনস্টেবল রনি চন্দ্র রায়, এসআই নিহারেন্দু তালুকদার, কনস্টেবল সুজিত সিংহ, অপুর্ব সিংহ, প্রনজিৎ, সুমন, শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলীলুর রহমান, সেক্রেটারী সাজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া, সহ-সভাপতি ফারহান রুবেল, তায়েফ হোসেন, শাবি ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীন, সাইমন ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ-সভাপতি তানিম খন্দকার, ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন, শফিউল রাব্বি, সহ-সভাপতি রেজাউল হক সিজার, ইউসুফ হোসেন টিটু, মনসুর আলম নিরব, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, আর কে রাকিব হোসেন, শুভ সাহা, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, ছাত্রলীগ নেতা ফারহান হোসেন চৌধুরী আরিয়ান, সানি শেখ, মোহাম্মদ তারেক, সহ-সভাপতি শিমুল মিয়া, আয়াজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত সাহা, ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল কাদির মোহাম্মদ রেদুয়ান, নুরুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম, আহমদ সাজন, হাসান আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ সরোয়ার সবুজ, ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার হেলাল উদ্দিন, শহীদ মোহাম্মদ অকীল অপু, মোঃ শাহজাহান, আপ্তাব হোসেন সিরাজী, অহিদ উদ্দিন দুলাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রশিদ আহমদ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ রিপন, মুজিবুর রহমান মালদার, আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার তারেক উদ্দিন তাজ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহনুর আলম, রুহিন আহসান খান, আমির হোসেন খান (বাবা সম্রাট)।
হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা ছাত্র আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পরস্পরের যোগসাজসে দেশী-বিদেশী অস্ত্র দিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রুদ্র সেনকে ধাওয়া করে পানিতে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা