শ্রীমঙ্গলে 'ঠাকুর ঘর' থেকে 'বেত আঁচড়া' উদ্ধার
- এম এ রকিব, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
- ২২ জুন ২০২৪, ১৮:১৩
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক ব্যবসায়ীর বাসার 'ঠাকুর ঘর' থেকে একটি 'বেত আঁচড়া' সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। শনিবার দুপুরে শহরের গীতাশ্রী বস্ত্র বিতানের মালিকের রূপসপুরস্থ বাসা থেকে সাপটি উদ্ধার করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
সজল নয়া দিগন্তকে জানান, শহরের স্টেশন রোডস্থ গীতাশ্রী বস্ত্র বিতানের মালিক প্রদীপ অধিকারীর রুপসপুরস্থ বাসার ঠাকুর ঘরে (পুজোর ঘর) বাসার লোকজন সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দিলে পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপকে সঙ্গে নিয়ে সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তিনি। পরবর্তীতে এটিকে বনবিভাগ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সজল দেব আরো জানান, একসময় আমাদের দেশের বনাঞ্চলে এদের খুব বেশি দেখা যেত। কিন্তু এখন আর আগের মতো এদের দেখা মেলে না। বাংলাদেশের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনাঞ্চল ছাড়াও মধুপুর ও সুন্দরবনের বনাঞ্চলে এই সাপের দেখা মিলে। এরা লম্বায় ৫০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। দেখতে অনেকটা বেতের মতো। এটি একটি লাজুর ও নিরীহ প্রকৃতির সাপ। খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে লোকালয়ে চলে আসে। তবে এটি বিষধর সাপ নয় বলে তিনি যোগ করেন।
জানাযায়, 'বেত আঁচড়া' এটি একটি গেছো সাপ। মাটিতে থাকার চেয়ে গাছের চূড়ায় বাস করতে তারা পছন্দ করে। এ সাপটি হলুদ ও বাদামি বর্ণের হয়। তবে শরীরের নিচের অংশ সাদা হয়। পেটের মধ্যে কালো লম্বা রেখা টানা থাকে। ম্যাক্সিলারি দাঁত, চোখা নাকের এবং চোখের মধ্যবর্তী দূরত্ব হিসাবে দীর্ঘ। এই প্রজাতির সাপগুলো ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনানের ঘন জঙ্গলে বসবাস করে। অতিবৃষ্টি হলে এরা গভীর অরণ্য থেকে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।
'বেত আঁচড়া' প্রধানত টিকটিকি, পাখি ব্যাঙ ধরে খায়। এর অভিন্ন লালচে বাদামি ত্বকের কারণে এটি পাতার মধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। এ সাপটি মাটি এবং গাছ উভয়তেই প্রাণবন্ত এবং দ্রুতগামী। সাপটি সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে ডিম দেয়। একটি গুচ্ছে বা একবারে ৬-৭টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪-৬ সপ্তাহ পরে ডিমগুলো ফোটে; অর্থাৎ, তাদের গর্ভধারণকাল ৪-৬ সপ্তাহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা