অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও প্রস্তুতির অভাব
- জৈন্তাপুর (সিলেট) সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২৪, ২২:৫৩, আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ২৩:৩৩
পাহাড়ি ঢলের ভয়াবহতার কারণ, অপরিকল্পিত উন্নয়নন ও প্রস্তুতির অভাব। পাহাড়ি ঢল একটি সিলেটের পার্বত্য এলাকার একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। আবহমানকাল থেকে মৌসুমের শুরুতে পাহাড় থেকে অতিবৃষ্টির সময় পাহাড়ি ঢল নেমে আসে। কিন্তু বর্তমানে এটি মারাত্বকভাবে জান ও মালের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। অপরিকল্পিত উন্নয়ন, প্রকৃতিবিরোধী কর্মকান্ড আর মানুষের অপ্রস্তুতির কারণেই দিন দিন তা ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
শুক্রবার (৭ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ’পাহাড়ি ঢলের কারণ, ভয়াবহতা ও করনীয়’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। বিকেল ৪টায় জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও সারি নদী বাঁচাও আন্দোলন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনজুর আহমদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধরীত্রি রক্ষায় আমরা ধরা’র কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী সদস্য আব্দুল করিম কিম, জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা অলিউর রহমান।
মুক্ত আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, চারিকাঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতাম করিম, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান চৌধুরী, চারিকাঠা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়াার বেলাল, সাংবাদিক আব্দুল হালিম, সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম বাবু, হোসেন মিয়া প্রমুখ। সভায় জৈন্তাপুর উপজেলার অন্তভুক্ত সকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি জৈন্তাপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঘন ঘন পাহাড়ি ঢলে মানুষের জানমালের ক্ষতি ও তা প্রতিরোধ, প্রতিকার নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। একইসাথে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ রোধ, পরিবেশ রক্ষায় নদী খনন, পাহাড় টিলা রক্ষা করা, কৃষি ফসলের জন্য ভূমি রক্ষা ও মৎস সম্পদ রক্ষাসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জান ও মালের হেফাজতের জন্য আগাম প্রস্তুতির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা