শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি!
- মো: আব্দুর রকিব, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
- ১৪ আগস্ট ২০২০, ১০:৫১, আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১০:৫২
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর দেয়া তথ্যে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটি বুধবার (১২ আগস্ট) বলেছে সবচেয়ে বেশি নতুন রোগী বেড়েছে বিশ্বের এমন শীর্ষ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে বলে ভয়েস অব আমেরিকা সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দৃশ্যত হাট-বাজার, শপিং মল, হোটেল রেস্তোরাঁ, ফুটপাত ও গণপরিবহন কোথাও মানা হচ্ছে না রাষ্ট্র আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে গণপরিবহন। বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, রিক্সা ও টমটম নামের গণপরিবহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। সকল যাত্রীর নিকট থেকে ভাড়ার নামে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা অনৈতিকভাবে যাত্রীসাধারণের নিকট থেকে সরাসরি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি আদায় করছে।
করোনা প্রাদুর্ভাবকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণচলাচলের ক্ষেত্রে শর্ত ছিল, সীমিতসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে গণপরিবহন। এই নিয়মে যাত্রীসেবা দিতে গিয়ে পরিবহন মালিকদের ক্ষতি পোষাতে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। টানা ৬৬ দিন লকডাউন শেষে গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু করে ১ জুন থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে বলা হয়েছিল প্রজ্ঞাপনে। এরপর ক্রমে যাত্রীর চাপ বাড়ার সাথে সাথে আগের মতোই অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। কিন্তু বাড়তি ভাড়া আর কমানো হয়নি। বর্তমানে দেশের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। গণপরিবহনের প্রতিটি আসনেই যাত্রী ভ্রমণ করছেন। তবে কেন আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া?
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ছাড়াও অন্য কোনো নির্দেশনাই মানা হচ্ছে না। তারা সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান থাকলেও প্রতিটি গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বসার জায়গা বা সিট খালি না থাকলে দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া পথচারী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগ যাত্রী, স্টাফ তা ব্যবহার করেছেন না। যারা ব্যবহার করেছেন তারাও সবাই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার নিয়মিত তদারকি করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও আদায় করছেন স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে। তবুও জনসাধারণ সচেতন হচ্ছেন না। বৈশ্বিক তাণ্ডব সৃষ্টিকারী মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে মনে করছেন সচেতন মহল।