১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো না সুবীর নন্দীর

সুবীর নন্দী - সংগৃহীত

দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর জীবনের শেষ ইচ্ছে টুকু পূরণ হলো না। তার শেষ ইচ্ছে ছিল তার মৃত্যুর পর যেন শেষকৃত্য হয় প্রিয় জন্মভূমি হবিগঞ্জের মাটিতে। হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসব ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় তিনি তার এই ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। এ দিকে প্রিয় এ শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বত্র। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন। 

কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর বাল্যকালের বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক বলেন, স্বাধীনতার পর যখন হবিগঞ্জে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, তখন সুবীর নন্দীর নেতৃত্বেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সুবীর যখন হবিগঞ্জে আসে, তখন সার্কিট হাউজে সে আমাকে এবং সবাইকে বলেছিল, ঢাকা তার ভালো লাগে না। হবিগঞ্জে একটি কুঁড়ে ঘরে হলেও শেষ জীবন অতিবাহিত করতে চায়। এ ছাড়া সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বলেছিল তার শেষকৃত্য যেন হবিগঞ্জে হয়। এটি তার পরিবারের লোকজনও জানত।

হবিগঞ্জ সুরবিতানের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল বলেন, আমি যে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক, সুবীর নন্দী সেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন বলে আমার আলাদা গর্ব ছিল। তার মৃত্যুতে আজ হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবাই শোকাহত। তিনি প্রকাশ্যে একাধিকবার বলেছিলেন, তার শেষকৃত্য যেন হবিগঞ্জে হয়। মনে হচ্ছে তার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না। 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সুবীর নন্দী ছিলেন নিরহঙ্কার এবং ভালো মনের মানুষ। আমরা যখন কোনো প্রোগ্রামের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানাতাম, তিনি খুশি মনে তা গ্রহণ করতেন। তার একটি ইচ্ছা ছিল হবিগঞ্জে পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চাবাগানে। তার পিতা সুধাংশু নন্দী ও মাতা পুতুল রানী। পিতা সুধাংশু নন্দী ছিলেন একজন মেডিক্যাল অফিসার। সুবীর নন্দীর গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নন্দী পাড়ায়। সাত-আট বছর বয়সে মায়ের কাছেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি তার।


আরো সংবাদ



premium cement