কমলগঞ্জে সেন্ডেল ও ভাঙা প্যাডেলের সূত্র ধরে ঘাতকদের আটক করলো পুলিশ
- কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩১

ঘটনার ১৭ দিন পর ফেলে যাওয়া সেন্ডেল ও বাইসাইকেলের ভাঙা প্যাডেলের আলামত ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক দিবস রেংগেট (১৯) ও তার বন্ধু উজ্জল বাউরিকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
এ সময় তিনি তার বক্তব্যে জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পাওয়া যায়,কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশনে বাগানের ঢালে ১০ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশু কন্যার মৃতদেহ পড়ে আছে। মৃতদেহটির ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও গলা কাঁটা ছিল। ঘটনাস্থলে কমলগঞ্জ থানা ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানের সময় জানতে পারেন মৃতদেহটি শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর টিলার আপ্পারাও রেলীর মেয়ে পূর্ণিমা রেলীর (১০)। তখন প্রাথমিকভাবে লাশের সুরতহাল প্রস্তুতসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-০৫। মামলাটির তদন্তে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেলের তত্ত্বাবধানে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা হওয়া শুরু হয়। তাহাদের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূইয়া, তদন্তকারী কর্মকর্তা রতন কুমার হালদারের সমন্বয়ে একটি অভিজ্ঞ টিম গঠন করা হয়।
কমলগঞ্জ থানা মামলাটির উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সাপোর্ট সরবরাহ করে। ঘটনাস্থল হতে পাওয়া ৩ জোড়া সেন্ডেল, একটি বাইসাইকেলের প্যাডেল, একটি পুরাতন গামছার সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তি ও নিয়োগ সোর্সের দেয়া তথ্য মোতাবেক ওই অভিযানিক টিম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনার সাথে জড়িত নারায়ন টিলার লাছানা রেংগেটের ছেলে দিবস রেংগেট (১৯) এবং একই এলাকার সুনিল বাউরির ছেলে উজ্জল বাউরিকে (২৩) শমশেরনগর চা বাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামি দিবস রেংগেট ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা উভয়ে ভিকটিম পূর্ণিমা রেলীকে মামলার ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করেছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার ২ জোড়া পুরুষ সেন্ডেলের মধ্যে ১ জোড়া তার এবং অপর জোড়া উজ্জল বাউরির বলে জানায় আসামি দিবস রেংগেট। সে আরো জানায় গামছাটি উজ্জ্বল বাউরির এবং উদ্ধার ভাঙা বাই সাইকেলের প্যাডেলটি তার নিজের সাইকেলের। উক্ত সাইকেলটি গ্রেফতার আসামি উজ্জল বাউরির বসতভিটার গোয়াল ঘর হতে লুকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বাই সাইকেলটির প্যাডেল ছিল না। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।
এ সময় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূইয়া ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রতন কুমার হালদার উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা